বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ।
প্রত্যেক ঋতু প্রকৃতিতে নতুন নতুন রূপ রস ও সৌন্দর্য নিয়ে আসে।নবসাজে সেজে উঠে প্রকৃতি। নতুন নতুন দৃশ্য, শব্দ নিয়ে আসে প্রকৃতিতে।মানুষ নতুন নতুন দৃশ্য উপভোগ করে।একঘেয়েমিতাও দুর হয় মানুষের জীবনযাত্রায়।বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তিনটি ঋতু বিরাজ করলেও বাংলাদেশে ছয় ঋতু বিদ্যমান রয়েছে।প্রত্যেক ঋতুতে সব কিছুর পরিবর্তন ঘটে।প্রকৃতির রূপ,মানুষের জীবনযাত্রার ধরণ,প্রত্যেক ঋতুতে মানুষের অনুভুতিও বদলায়।মানুষ জীবনের একঘেয়েমিতা ভুলে যায় এবং নতুন উদ্দীপনা নিয়ে জীবন শুরু করে।ছয়টি ঋতু বছরের বারো মাসে আবর্তিত হয়।প্রত্যেক দুই মাস অন্তর অন্তর ঋতু বদলায়।ঋতু চক্রের প্রথম ঋতু হলো গ্রীষ্মকাল।বৈশাখ -জৈষ্ঠ এই দুই মাস গ্রীষ্মকাল,আষাঢ় -শ্রাবণ দুই মাস বর্ষাকাল,ভাদ্র-আশ্বিন দুই মাস শরৎকাল, কার্তিক -অগ্রহায়ণ দুই মাস হেমন্তকাল,পৌষ-মাঘ দুই মাস শীতকাল এবং ফাল্গুন-চৈত্র দুই মাস বসন্তকাল।
ঋতু চক্রের প্রথমে ই আসে গ্রীষ্মকাল।গ্রীষ্মকালে মাঠ ঘাট সব শুকিয়ে যায়।সূর্যের তাপ অসহনীয় হয়ে উঠে।গ্রীষ্মকালে সূর্যের প্রখরতা অনেক বেশি থাকে।সূর্য তীর্যকভাবে আলো দেয় যার জন্য প্রচুর গরম অনুভুত হয় এবং জীবন অসহ্য হয়ে উঠে।সব জায়গার পানি শুকিয়ে যায়।পুকুর,নদী,খাল,বিল এবং ছোট নদীগুলোও শুকিয়ে উঠে।সব জায়গায় পানির সংকট দেখা দেয়।পানির অভাবে মাটি শুকিয়ে ফেটে যায়।সামান্যতেই মানুষ অনেক ক্লান্ত হয়ে যায় এবং ঘামতে শুরু করে এবং খুব তৃষ্ণার্ত বোধ করে।মানুষ শান্তিতে কোনো কাজ ই করতে পারে না।খুব ই কষ্ট হয় গ্রীষ্মকালে মানুষের। প্রকৃতিকে রুদ্ররূপ নিয়ে আসে গ্রীষ্মকাল।এসে ই সে তার দৌদ্ররুপের মহিমা দেখাতে শুরু করে দেয় এবং চারিদিকে তার আগমন বার্তা ছড়িয়ে দেয়।এভাবে দুই মাস রাজত্ব করতে থাকে সে প্রকৃতিতে।তার খরতাপে চারদিক জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাড় খার করে দেয়।
কিন্তু গ্রীষ্মকালে যে সব সময় গরম ই থাকে তা নয়।কখনো কখনো অঝোরে বৃষ্টি হতে থাকে কয়েক দিন অবধি। অঝোর ধারায় বইতে থাকে কখনো কখনো কালবৈশাখী ঝড়।ভেসে যায় হাজারো জমি ফসল এবং অন্যান্য জিনিসপত্র। এভাবে নিস্ব হতে পড়ে অসংখ্য মানুষ। সব হারিয়ে পথে এসে দাড়ায়।কেও কেও সর্ব হারা হয়ে পথে পথে ঘুরে ভিক্ষে করে আবার কেও কেও পাগল হয়ে যায়৷ আবার অনেকে আত্মহত্যাও করে।এভাবে গ্রীষ্মকাল দারিদ্র্য লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি করে এবং এর ফলে দেশের অর্থনীতিতে বিরুপ প্রচাব পড়ে। কিন্তু গ্রীষ্ম যে শুধু জ্বালায় পোড়ায় এবং ধ্বংস করে তা নয়।সে দুহাত ভরে দান করে সবজি এবং অনেক মিষ্টি ফল।গ্রীষ্মকালে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি এবং সুস্বাদু ফল ধরে গাছে গাছে।যেমনঃ আম,কাঁঠাল,জাম,আঙুর,পেয়ারা,কলা,আনারস ইত্যাদিসহ আরো৷ অনেক ফল।
গ্রীষ্মকালে গাছে গাছে অনেক ফুল ও ফোটে।গাছে গাছে ফুলের গোছা দেখে মন ভরে উঠে।মনে হয় প্রকৃতি যেনো উৎসবের সাজে সেজে উঠেছে। গাছে গাছে নতুন পাতাও গজায় এবং তার আড়াল থেকে বিভিন্ন পাখি গান গাইতে থাকে।চারিদিকে নতুন নতুন ফুল ও ফলের ঘ্রাণ মনে আনন্দ জাগিয়ে তুলে।মন যেনো আনন্দে নেচে উঠে।গ্রীষ্মের পর আসে বর্ষাকাল।দিনরাত মুষলধারে বৃষ্টি হতে থাকে।পানিতে মাঠ,ঘাট ভরে যায়।তারপাশ পানিতে পরিপূর্ণ থাকে।বর্ষাকালের পর আসে শরৎকাল। আকাশে স্বচ্ছ তুলোর মতো সাদা সাদা মেঘ ভেসে বেড়াতে থাকে।কৃষকরা তখন কৃষি কাজে ব্যস্ত থাকে।প্রকৃতি তখন অন্য সাজে সেজে উঠে।গাছে গাছে নতুন পাতা,পাতার আড়াল থেকে পাখিদের কলকাকলীতে চারপাশ মুখরিত হয়ে থাকে।এ সময় হিন্দুদের দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হয়। আর তারপর আসে হেমন্তকাল।হেমন্তকাল চারিদিকে আনন্দ নিয়ে আসে অনেক।কৃষকেরা নতুন ধান ঘরে তুলে।গ্রামএলাকায় এ সময় নবান্ন উৎসব পালিত হয়।ঘরে ঘরে নতুন ধান। আর সেই নতুন ধানের তৈরী পিঠা দিয়ে নবান্ন উৎসব পালিত হয়।চারদিকে খুশির বন্যা বইতে থাকে।আর হেমন্তকাল শীতকাল আসার ইঙ্গিতও দিয়ে যায়।আর
The opportunity to watch a movie in the car, the journey started with ‘Poramon 2’
Drive-in movie shows are a particularly popular medium in the Western world. The movie is shown through screen sharing in...