প্রতিনিধি ২০ অগাস্ট ২০২৫ , ১০:১৫ এএম প্রিন্ট সংস্করণ
বিএনপি আগামী দিনের জন্য এক নতুন রাজনৈতিক রূপরেখা ও কর্মসূচি সাজাচ্ছে, যেখানে পরিবেশ সুরক্ষা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের বিষয়গুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানিয়েছেন, যদি তারা পুনরায় ক্ষমতায় আসে, তবে আগামী পাঁচ বছরে অন্তত ২৫ কোটি গাছ লাগানোর এক বিশাল পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। একই সাথে, দেশের খাল খনন কর্মসূচিও পুনরায় শুরু করা হবে বলে তিনি জানান।
মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান এসব কথা বলেন। তার বক্তব্যের মূল বিষয় ছিল একটি নিরাপদ ও টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা এবং দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা।
তিনি বলেন, প্রচলিত ধারার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে নতুন চিন্তা-ভাবনা নিয়ে এগোতে হবে। তারেক রহমান দেশের গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যের ওপর জোর দেন এবং সতর্ক করে বলেন যে, যদি এই দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব বা বিভেদ সৃষ্টি হয়, তাহলে রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে ফ্যাসিবাদী চক্রের পুনর্বাসনের পথ সুগম হবে। তাই তিনি গণতন্ত্রকামী জনগণের প্রতি এই বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে তারেক রহমান উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে জনগণের ক্ষমতা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রধান উপায় হলো সুষ্ঠু ও নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন। কিন্তু যদি নানা রকম শর্ত আরোপ করে জনগণের এই রাজনৈতিক অধিকারের পথে বাধা সৃষ্টি করা হয়, তাহলে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ সংকটে পড়বে। তারেক রহমান মনে করেন, এটি জনগণের রাজনৈতিক অধিকারের ওপর এক বড় আঘাত।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদী শক্তির পলায়নের পর ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোর মধ্যে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি করা শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি এক ধরনের অবমাননা। তার মতে, কেবল লিখিত সংবিধান বা বিধিবিধান দিয়ে ফ্যাসিবাদ ঠেকানো যায় না। এর জন্য জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে তোলা অপরিহার্য। একটি শক্তিশালী জনগণই কেবল ফ্যাসিবাদকে রুখে দাঁড়াতে পারে। তারেক রহমানের এই ঘোষণা থেকে স্পষ্ট যে বিএনপি তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডায় জনগণের ক্ষমতায়ন, পরিবেশ সুরক্ষা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে নতুন করে প্রাধান্য দিচ্ছে।