খেলাধুলা

শীর্ষে এমবাপ্পে: লা লিগার সবচেয়ে বেশি বেতনধারী ১০ ফুটবলার কারা?

  প্রতিনিধি ২২ অগাস্ট ২০২৫ , ১২:২৫ পিএম প্রিন্ট সংস্করণ

শীর্ষে এমবাপ্পে: লা লিগার সবচেয়ে বেশি বেতনধারী ১০ ফুটবলার কারা?

ফুটবল বিশ্বে অর্থের ঝনঝনানি নতুন কিছু নয়, বিশেষ করে স্প্যানিশ লা লিগার মতো শীর্ষ লিগগুলোতে। ২০২৫-২৬ মৌসুমের জন্য লা লিগার সবচেয়ে বেশি বেতনধারী ফুটবলারদের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, এবং এই তালিকায় প্রত্যাশিতভাবেই শীর্ষে আছেন রিয়াল মাদ্রিদের ফরাসি সুপারস্টার কিলিয়ান এমবাপ্পে। তাঁর সাপ্তাহিক বেতন এতটাই আকাশচুম্বী যে তা অন্যান্য ফুটবলারদের আয়ের হিসাবকে ছাড়িয়ে গেছে।

 

এমবাপ্পের বেতন: এক অবিশ্বাস্য অঙ্ক

 

রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার পর থেকেই এমবাপ্পের পারিশ্রমিক নিয়ে আলোচনা চলছিল। নতুন মৌসুমে তিনি যে বেতন পাচ্ছেন, তা সত্যিই চমকপ্রদ। প্রতি সপ্তাহে তাঁর আয় ৫১৮,১৩৭ পাউন্ড, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকা! এই অঙ্ককে আরও সহজভাবে বলতে গেলে, প্রতি দিন তিনি আয় করেন প্রায় ১.২ কোটি টাকা। একজন সাধারণ মানুষের সারাজীবনের আয়ের চেয়েও বেশি অর্থ তিনি এক দিনে রোজগার করছেন, যা আধুনিক ফুটবলে খেলোয়াড়দের আর্থিক ক্ষমতাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।

 

রিয়াল এবং বার্সার আধিপত্য

 

লা লিগার এই শীর্ষ ১০ বেতনধারী ফুটবলারের তালিকায় রিয়াল মাদ্রিদ এবং বার্সেলোনার একচ্ছত্র আধিপত্য চোখে পড়ার মতো। তালিকায় থাকা ১০ জনের মধ্যে রিয়াল মাদ্রিদের ৫ জন এবং বার্সেলোনার ৪ জন ফুটবলার রয়েছেন। একমাত্র ব্যতিক্রম হলেন আতলেতিকো মাদ্রিদের গোলরক্ষক ইয়ান ওবলাক। এই পরিসংখ্যান থেকেই বোঝা যায়, স্প্যানিশ ফুটবলে এই দুই ক্লাবের অর্থনৈতিক এবং খেলোয়াড়দের মানের দিক থেকে কতটা এগিয়ে।

 

লা লিগার সবচেয়ে বেশি বেতনধারী ১০ ফুটবলার: এক নজরে

 

  • কিলিয়ান এমবাপ্পে (রিয়াল মাদ্রিদ): ৫১৮,১৩৭ পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকা)
  • ডেভিড আলাবা (রিয়াল মাদ্রিদ): ৩৭৩,০৫৮ পাউন্ড (প্রায় ৬ কোটি ১০ লাখ টাকা)
  • ভিনিসিয়ুস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ): ৩৪৫,৩৬৯ পাউন্ড (প্রায় ৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা)
  • ইয়ান ওবলাক (আতলেতিকো মাদ্রিদ): ৩৪৫,৩৬৯ পাউন্ড (প্রায় ৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা)
  • জুড বেলিংহাম (রিয়াল মাদ্রিদ): ৩৪৫,৩৬৯ পাউন্ড (প্রায় ৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা)
  • রবার্ট লেভান্ডভস্কি (বার্সেলোনা): ৩৪৫,৩৬৯ পাউন্ড (প্রায় ৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা)
  • ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং (বার্সেলোনা): ৩১৫,০২৭ পাউন্ড (প্রায় ৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা)
  • মার্কাস রাশফোর্ড (বার্সেলোনা): ৩০০,০০০ পাউন্ড (প্রায় ৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা)
  • ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আরনল্ড (রিয়াল মাদ্রিদ): ২৭৬,৯৩৫ পাউন্ড (প্রায় ৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকা)
  • লামিন ইয়ামাল (বার্সেলোনা): ২৭৬,৯৩৫ পাউন্ড (প্রায় ৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকা)

এই তালিকাটি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, রিয়াল মাদ্রিদ এবং বার্সেলোনা কীভাবে বিশ্বসেরা প্রতিভাগুলোকে নিজেদের দলে ভিড়িয়েছে। বিশেষ করে রিয়াল মাদ্রিদ, এমবাপ্পে, ভিনিসিয়ুস এবং বেলিংহামের মতো তরুণ তারকাদের সর্বোচ্চ বেতন দিয়ে নিজেদের ভবিষ্যতের ভিত গড়ে তুলেছে। অন্যদিকে বার্সেলোনাও লেভান্ডভস্কি এবং ডি ইয়ংয়ের মতো অভিজ্ঞদের পাশাপাশি তরুণ প্রতিভা মার্কাস রাশফোর্ড ও লামিন ইয়ামালকে উচ্চ বেতনে দলে রেখে নিজেদের শক্তিমত্তা ধরে রাখার চেষ্টা করেছে। এই বিপুল পরিমাণ অর্থই বলে দেয়, আধুনিক ফুটবলে শুধু খেলার মান নয়, অর্থনৈতিক সক্ষমতাও সাফল্যের অন্যতম মাপকাঠি।