প্রতিনিধি ২৫ অগাস্ট ২০২৫ , ১১:২৯ এএম প্রিন্ট সংস্করণ
বুধবার, ২০শে আগস্ট, এমারেল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা (EISD) আয়োজন করলো এক বর্ণাঢ্য আরবী ভাষা ও সংস্কৃতি উৎসব। এই প্রাণবন্ত অনুষ্ঠানটি কেবল ভাষা শিক্ষার উদযাপন ছিল না, বরং ইসলামিক ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এক মনোরম প্রদর্শনীও ছিল। স্কুলের ম্যানেজমেন্ট টিম এবং প্রধান উপদেষ্টা, জনাব এম এম রনক, বিশেষ অতিথিদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান, যা অনুষ্ঠানের সূচনাকে আরও অর্থবহ করে তোলে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের লিবীয় দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান, জনাব আব্দালফাত্তাহ এ. এ. খিতরেশ। তার সঙ্গে আরও দুজন সম্মানিত অতিথি ছিলেন – চৌধুরী লেদার অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব ইমরান চৌধুরী, এবং বিজনেস ইন বাংলাদেশের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জনাব রাজিব। অতিথিদের বরণ করে নেওয়া হয় ফুলের তোড়া এবং তাদের নামের ইসলামিক ক্যালিওগ্রাফি দিয়ে, যা ছিল এক অনন্য সম্মাননা।
অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল শিক্ষার্থীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা। কঠোর পরিশ্রমের ফসল হিসেবে, শিক্ষার্থীরা তাদের আরবি ভাষার দক্ষতা এবং সাংস্কৃতিক জ্ঞান এক চমৎকার প্রদর্শনীতে তুলে ধরে। তাদের সাবলীল আরবি কথোপকথন, আত্মবিশ্বাস এবং নান্দনিক পরিবেশনা দর্শকদের মুগ্ধ করে। এই পরিবেশনা দেখে অতিথিরা অভিভূত হন এবং স্কুলের ভাষা কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এমারেল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যে আত্মবিশ্বাসী এবং মুসলিম নেতৃত্ব তৈরি করছে, আজকের অনুষ্ঠান তারই এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা প্রমাণ করে, আধুনিক শিক্ষার সঙ্গে ইসলামিক মূল্যবোধের মেলবন্ধন কতটা সফল হতে পারে।
শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা শেষে অতিথিদের মধ্যাহ্নভোজের আমন্ত্রণ জানানো হয়। এই পর্বে অতিথিরা শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করেন। এটি কেবল একটি ভোজ ছিল না, বরং শিক্ষাবিদ এবং পেশাদার ব্যক্তিদের মধ্যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার এক অর্থপূর্ণ আদান-প্রদান ছিল। সবাই একসঙ্গে মিলেমিশে শিক্ষাব্যবস্থা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন, যা অনুষ্ঠানের গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
এমারেল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের এই আরবি সপ্তাহর সাফল্য সামগ্রিক শিক্ষা পদ্ধতির এক অনন্য উদাহরণ। এটি প্রমাণ করে, একটি সফল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুধু একাডেমিক উৎকর্ষতায় মনোযোগ দেয় না, বরং নৈতিকতা এবং ইসলামী সংস্কৃতির মতো গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলোকেও সমান গুরুত্ব দেয়। এই ধরনের আয়োজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেবল ভাষার প্রতি আগ্রহই তৈরি করে না, বরং তাদের নিজেদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতেও শেখায়।
এমারেল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকার এই উদ্যোগ শিক্ষাজগতে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এটি দেখিয়ে দিয়েছে যে, ভাষা এবং সংস্কৃতির মেলবন্ধন কতটা শক্তিশালী হতে পারে। শিক্ষার্থীরা যেন শুধু বই পড়ে শেখা জ্ঞানকে বাস্তবে প্রয়োগ করতে পারে, সেই সুযোগ তৈরি করেছে এই অনুষ্ঠান। এই সাফল্য স্কুলের সামগ্রিক শিক্ষা পদ্ধতির প্রতিফলন এবং ভবিষ্যতে আরও এমন অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুপ্রেরণা জোগাবে।