প্রতিনিধি ২০ অগাস্ট ২০২৫ , ৯:৫২ এএম প্রিন্ট সংস্করণ
প্রবাসীদের ভোটার হওয়ার প্রক্রিয়া আরও সহজ করতে ১৪ দিনের সফরে কানাডা যাচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আগামী ২৬ আগস্ট তিনি কানাডার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন এবং ৮ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরবেন। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপ-সচিব মো. শাহ আলমের সই করা এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এই সফরে তিনি কানাডায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ভোটার কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন এবং তাদের মাঝে জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ করবেন।
এই সফরে সিইসির সঙ্গে থাকবেন লালমনিরহাট জেলার নির্বাচন কর্মকর্তা মো. লুৎফুল কবির। তাদের এই সফর মূলত প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির কার্যক্রম সরাসরি পর্যবেক্ষণ এবং তা আরও কার্যকর করার লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে। বিদেশে বসবাসরত লাখ লাখ বাংলাদেশি নাগরিককে জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে সরকার দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। সিইসির এই সফর সেই প্রচেষ্টারই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
একই সময়ে, ইসি সচিব আখতার আহমেদও বিদেশে ভোটার কার্যক্রম পরিদর্শনের জন্য জাপান সফরে রয়েছেন। গত রবিবার তিনি জাপান গেছেন এবং আগামী ২৩ আগস্ট তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। তার এই সফরও প্রবাসীদের ভোটার কার্যক্রমে গতি আনতে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বর্তমানে নির্বাচন কমিশন বিশ্বের নয়টি দেশের ১৬টি স্টেশনে দূতাবাসের মাধ্যমে ভোটার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। দেশগুলো হলো যুক্তরাজ্য, ইতালি, কুয়েত, কাতার, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডা। এই উদ্যোগের ফলে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন।
প্রবাসীরা যাতে সহজেই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে পারেন, সেজন্য এই কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করার পরিকল্পনা রয়েছে। সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা। এর মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের সম্পৃক্ততা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
সিইসির কানাডা সফর এবং ইসি সচিবের জাপান সফর প্রমাণ করে যে, নির্বাচন কমিশন এই বিষয়ে কতটা আন্তরিক। এই ধরনের উচ্চ-পর্যায়ের পরিদর্শনের মাধ্যমে প্রবাসীদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তার সমাধান করা সহজ হবে। একইসঙ্গে, নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে কীভাবে এই প্রক্রিয়া আরও দ্রুত ও ত্রুটিমুক্ত করা যায়, সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এই কার্যক্রম সফল হলে আরও অনেক দেশে এটি সম্প্রসারিত হতে পারে। এর ফলে বিদেশে বসবাসকারী বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি নাগরিক দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রক্রিয়ায় আরও বেশি করে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন।