কারুকাজ করা নিত্যব্যবহার্য সামগ্রীকে কারুশিল্প বলা হয়। এ ধরনের শিল্পের ব্যবহারিক ক্ষেত্রসমূহ হলাে বাশের তৈরি কুলা, ডালা, চালনি, বুকসেলফ, বেতের তৈরি চেয়ার সােফাসেট, মােড়া, ধামা, দাঁড়িপাল্লা, কাঠের তৈরি খাট, পালক, দরজা, ধাতুর তৈরি বিভিন্ন উপাদান যেমন– দা, কুড়াল, খন্তা, কাঁচি, যাতে, লাঙলের ফলা ইত্যাদি।
জীবনের প্রয়োজনে মানুষ যা সৃষ্টি করে তার প্রাথমিক রূপটি হয় খুব সরল। যেমন- আমরা যদি আদিমকালের বিভিন্ন হাতিয়ার বা বাসনপত্র ছবি দেখা, দেখা যাবে সেগুলো খুব সহজ ও সরল ভাবে।তারা কেবল ব্যবহারিক প্রয়োজনের কারণে সেটা তৈরি হয়েছে ।কিন্তু পরবর্তীকালে সৌন্দর্যবোধ ও রুচিবোধের প্রয়োজনে সে সকল হাতিয়ার বা বাসনপত্র মানুষ অনেক সুন্দর ও মনো মুগ্ধকর ভাবে।তৈরি করে তাকে শিল্পরূপ দিয়েছে।
মানুষ তার জীবনযাপনকে সুন্দর করার জন্য, সুখে ও আনন্দে বসবাস।করার জন্য শিল্পকর্মকে নানাভাবে ব্যবহার করে। গ্রামের সাধারণ গরিব।কৃষক ও শ্রমিক ও তার কুঁড়েঘর বাঁশ, খড় ও ছন দিয়ে যথাসম্ভব।মানুষ তার জীবনযাপনকে সুন্দর করার জন্য, সুখে ও আনন্দে বসবাস করার জন্য শিল্পকর্মকে নানাভাবে ব্যবহার করে। গ্রামের সাধারণ গরিব
কৃষক বা শ্রমিকও তার কুঁড়েঘরটি বাঁশ, খড় ও ছন দিয়ে যথাসম্ভব
সুন্দর করে তৈরি করার চেষ্টা করে। দরজা, জানালায় বাঁশ ও বেতের বাধন দিয়ে নানারকম নকশা করার চেষ্টা করে। এর কারণ সব মানুষের।মনেই সৌন্দর্যবােধ থাকে। আর সে তার জীবনযাপনে ঐ সৌন্দর্যবােধের প্রয়ােগ করতে চায়। আবার গায়ে যারা অর্থশালী, তাদের বাড়িঘর পরিপাটি করে সাজানাে থাকে। কাঠের দরজা, জানালায় থাকে কাঠ খােদাই করা, উঁচু উঁচু হয়ে থাকা নানারকম নকশা, ফুল, পাখি ওলাতপাতার ছবি। তাদের বাড়িতে ব্যবহৃত খাট, পালং, চেয়ার, টেবিল,
নানারকম আসবাবপত্র, বেত ও বাঁশের তৈরি বিভিন্ন সামগ্রীতে নানারকম কারুকাজ করে সেগুলােকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করা হয়। শহরের মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্তরাও কারুশিল্পকে নানাভাবে ব্যবহার করেন তাঁদের
জীবনযাপনে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রীর প্রায়
সবই কারুশিল্পের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং দেখা যাচ্ছে আমাদের সবার জীবনের
জন্য কারুকলার প্রয়ােজনীয়তা অনেক বেশি আমাদের জীবনে।
আবেগি মন কেনো যেনো আজ কষ্টের চাদরে আবৃত |
আবেগি মন কেনো যেনো আজ কষ্টের চাদরে আবৃত হয়ে বলছে আজ আমার ভিষন খারাপ লাগছে।আমার চতুর্পাশে দাঁড়িয়ে আছে নানান ক্ষিপ্ত...