শিক্ষা

ঢাকার এমারেল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে আরবী ভাষা ও সংস্কৃতির মনোমুগ্ধকর প্রদর্শনী

  প্রতিনিধি ২১ অগাস্ট ২০২৫ , ৪:০৪ পিএম প্রিন্ট সংস্করণ

ঢাকার এমারেল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে আরবী ভাষা ও সংস্কৃতির মনোমুগ্ধকর প্রদর্শনী

বুধবার, ২০শে আগস্ট, ২০২৫ তারিখে ঢাকার এমারেল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (EISD) একটি দারুণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এই অনুষ্ঠানে স্কুলের শিক্ষার্থীরা আরবী ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর তাদের জ্ঞান ও দক্ষতা প্রদর্শন করে। লিবীয় দূতাবাসের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ অন্যান্য গণ্যমান্য অতিথিদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি হয়ে ওঠে আরও প্রাণবন্ত।

সকাল ১১টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। স্কুলের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা জনাব এম এম রনক (Mr. M M Ronok) ও ম্যানেজমেন্ট টিম তিনজন বিশেষ অতিথিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। অতিথিদের হাতে ফুলের তোড়া এবং তাদের নামের সুন্দর ইসলামিক ক্যালিগ্রাফি তুলে দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে অবস্থিত লিবীয় দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান জনাব আব্দালফাত্তাহ এ. এ. খিতরেশ (Mr. Abdalfattah A. A. Khitresh)। তার সঙ্গে আরও ছিলেন চৌধুরী লেদার অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব ইমরান চৌধুরী (Mr. Imran Chowdhury) এবং বিজনেস ইন বাংলাদেশের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জনাব রাজিব (Mr. Rajib)।

শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা ছিল অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ। তারা তাদের কঠোর পরিশ্রমের ফলস্বরূপ আরবী ভাষায় দক্ষতা এবং সাংস্কৃতিক জ্ঞান প্রদর্শন করে অতিথিদের মুগ্ধ করে দেয়। শিক্ষার্থীরা সাবলীল ও আত্মবিশ্বাসী ভঙ্গিতে আরবী ভাষায় কথা বলে, যা তাদের ভাষার ওপর গভীর দখল প্রমাণ করে। এই মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা দেখে দর্শকরা অভিভূত হন এবং স্কুলের ভাষা কার্যক্রমের সাফল্য প্রমাণিত হয়। এমারেল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল যে নতুন প্রজন্মকে আলোকিত ও আত্মবিশ্বাসী মুসলিম নেতৃত্ব হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, আজকের এই অনুষ্ঠান ছিল তারই একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

শিক্ষার্থীরা শুধু ভাষা দক্ষতা নয়, বরং তাদের সাংস্কৃতিক জ্ঞানও তুলে ধরে। বিভিন্ন পরিবেশনার মাধ্যমে তারা আরবী সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক ফুটিয়ে তোলে, যা উপস্থিত সবাইকে আরও বেশি আগ্রহী করে তোলে। অনুষ্ঠানটি কেবল আরবী ভাষা ও সংস্কৃতির উদযাপন ছিল না, বরং শিক্ষাবিদ ও পেশাদার জগতের মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ মেলবন্ধনও তৈরি করে।

শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা শেষ হওয়ার পর অতিথিদের মধ্যাহ্নভোজের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেখানে তারা স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের সাথে আরও বেশি সময় কাটানোর সুযোগ পান। এটি ছিল একটি চমৎকার সুযোগ যেখানে সবাই একে অপরের সাথে মতবিনিময় করতে পারেন এবং নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে পারেন।

এমারেল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে আরবি সপ্তাহের এই সাফল্য তাদের সামগ্রিক শিক্ষা পদ্ধতির প্রতিফলন। স্কুলটি যে শিক্ষা, নৈতিকতা এবং ইসলামিক সংস্কৃতির সমন্বয়ে শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলার চেষ্টা করে, এই অনুষ্ঠান তার একটি সফল প্রমাণ। এই ধরনের আয়োজন শিক্ষার্থীদের শুধু একাডেমিক জ্ঞান প্রদান করে না, বরং তাদের মধ্যে সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ এবং নৈতিকতাও জাগ্রত করে।