শিক্ষা

ঢাবি প্রক্টরের ছবি ব্যবহার করে ভুয়া ফেসবুক আইডি, ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

  প্রতিনিধি ১১ অগাস্ট ২০২৫ , ১১:১০ এএম প্রিন্ট সংস্করণ

ঢাবি প্রক্টরের ছবি ব্যবহার করে ভুয়া ফেসবুক আইডি, ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদের ছবি ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ভুয়া আইডি খোলা হয়েছে। এই আইডি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আপত্তিকর মন্তব্য করা হচ্ছে। এ ঘটনায় রবিবার রাতে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

ঢাবির জুনিয়র সিকিউরিটি অফিসার মুনির হোসেন প্রক্টরের পক্ষে এই জিডিটি করেন। জিডিতে উল্লেখ করা হয়, Samiul Islam Dhrubo নামের একটি আইডি থেকে প্রক্টরের ছবি ব্যবহার করে উপাচার্যকে নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক ও আপত্তিকর মন্তব্য ছড়ানো হচ্ছে।

এ বিষয়ে সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আজকেই এই ফেসবুক প্রোফাইলের বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। আমার ছবি প্রোফাইলে ব্যবহার করে একজন এই আইডিটি চালাচ্ছে এবং এটি ব্যবহার করে নানা ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, যারা শুধু আমার ছবি দেখবে, তারা মনে করতে পারে যে এই কথোপকথন আমিই করছি।

প্রক্টর সবাইকে এই ধরনের বিভ্রান্তিমূলক ফেসবুক প্রোফাইল থেকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি এটিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করেন। তাঁর মতে, একটি কুচক্রী মহল বর্তমান প্রশাসনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, তাদের এই প্রচেষ্টা সফল হবে না।

এই ধরনের ভুয়া আইডি খুলে গুজব ছড়ানো একটি গুরুতর অপরাধ। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী, কেউ যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সম্মানহানি করে বা মিথ্যা তথ্য ছড়ায়, তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করা যায়, শাহবাগ থানা পুলিশ দ্রুত তদন্ত করে অপরাধীদের চিহ্নিত করতে পারবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এই ঘটনা শুধু প্রক্টরের ব্যক্তিগত সুনামকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে না, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক সুনামকেও আঘাত করছে। এই ধরনের অপপ্রচারের ফলে শিক্ষার্থীদের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু কার্যক্রমে বাধা আসতে পারে। তাই এই ধরনের সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে সবার সচেতন থাকা জরুরি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করায় এটি প্রমাণ করে যে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি রক্ষায় কতটা বদ্ধপরিকর।

এই ধরনের সাইবার অপরাধ মোকাবিলায় আমাদের সবাইকে আরও সতর্ক হতে হবে। কোনো তথ্য যাচাই না করে শেয়ার করা বা বিশ্বাস করা থেকে বিরত থাকতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করার সময় ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার দিকেও নজর রাখতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই ঘটনাটি আমাদের সবার জন্য একটি সতর্কবার্তা।