প্রতিনিধি ৮ অগাস্ট ২০২৫ , ৫:৫৪ এএম প্রিন্ট সংস্করণ
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন তার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে তারেক রহমানের একাধিক আসনে প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই খবর রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার করেছে।
হুমায়ুন কবির জানান, চলতি বছরের ১৩ জুলাই লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকটি ছিল একান্ত এবং এতে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন, সরকার গঠন এবং ক্ষমতায় এলে বিএনপি কেমন রাষ্ট্র কাঠামো প্রতিষ্ঠা করতে চায়, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
হুমায়ুন কবিরের ভাষ্যমতে, এই বৈঠকে বেশ কিছু মৌলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে প্রধান ছিল বিএনপির নির্বাচনী রূপরেখা এবং দলটি জয়ী হলে কেমন দেশ গড়তে চায়, সেই পরিকল্পনা। তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। এই প্রেক্ষিতে, তারেক রহমানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধির এই বৈঠক বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
তারেক রহমানের দেশে ফেরার খবর এবং তার নির্বাচনে অংশগ্রহণের সম্ভাবনা বিএনপির রাজনীতিতে একটি নতুন দিক উন্মোচন করতে পারে। দীর্ঘকাল ধরে দেশের বাইরে থাকা তারেক রহমান যদি নির্বাচনে প্রার্থী হন, তাহলে তা দলের জন্য একটি বড় শক্তি হিসেবে কাজ করবে। এর মাধ্যমে দলের নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হবেন এবং নির্বাচনকে ঘিরে তাদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা তৈরি হবে।
অন্যদিকে, এই খবর দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মেরুকরণ তৈরি করতে পারে। তারেক রহমানের ফিরে আসা এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে পারে এবং আগামী নির্বাচনকে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করে তুলতে পারে। এই পরিস্থিতিতে দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী রূপ নেবে, তা নিয়ে এখন থেকেই জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে।