প্রতিনিধি ২৪ অগাস্ট ২০২৫ , ৯:৫৬ এএম প্রিন্ট সংস্করণ
নৈতিক স্খলনজনিত অভিযোগে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারকে তার পদে পুনর্বহাল করা হয়েছে। এর ফলে তার বিরুদ্ধে জারি করা কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং দলীয় কার্যক্রমে তার অংশগ্রহণে আর কোনো বাধা থাকছে না। শনিবার (২৩ আগস্ট) রাতে এনসিপি’র যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত এক বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এনসিপি দপ্তর সম্পাদক কর্তৃক পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১৭ জুন নৈতিক স্খলনজনিত অভিযোগের ভিত্তিতে সারোয়ার তুষারকে সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। সে সময় তাকে একটি কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়। এরপর সারোয়ার তুষার দপ্তর মারফত আহ্বায়ক, সদস্যসচিব, রাজনৈতিক পর্ষদ এবং এনসিপি শৃঙ্খলা কমিটি বরাবর ওই নোটিশের লিখিত জবাব জমা দেন।
লিখিত জবাবটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করে এনসিপি নেতৃত্ব এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, ফাঁস হওয়া ফোনালাপের ঘটনাটি একান্তই ব্যক্তিগত যোগাযোগের বিষয়। তবে, নারীর প্রতি সংবেদনশীলতা এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে দলটি বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এই পরিপ্রেক্ষিতে, শোকজ নোটিশের নির্দেশ অনুসারে সারোয়ার তুষার দুই মাস যাবত দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকেন। এই সময়ে তিনি দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত জুলাই পদযাত্রা, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে এনসিপিকে প্রতিনিধিত্ব করা, মিডিয়ায় দলের অবস্থান তুলে ধরা, এবং নরসিংদীর পদযাত্রায় উপস্থিত থাকাসহ পার্টির সকল কার্যক্রম থেকে নিজেকে দূরে রাখেন। এই নির্দেশের প্রতি তার আনুগত্য প্রমাণ করে যে তিনি দলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সার্বিক ঘটনা, সারোয়ার তুষারের লিখিত জবাব এবং উপস্থাপিত আলামতসমূহ পর্যালোচনা শেষে তাকে পুনরায় সাংগঠনিক সকল কার্যক্রমে পুনর্বহাল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ দর্শানোর নোটিশটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
এই পদক্ষেপের মাধ্যমে এনসিপি একদিকে যেমন নিজেদের শৃঙ্খলা বজায় রেখেছে, তেমনি অন্যদিকে একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতার প্রতি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেছে। সারোয়ার তুষারের পুনর্বহাল দলীয় কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করবে বলে আশা করা হচ্ছে, কারণ তার সাংগঠনিক দক্ষতা এবং রাজনৈতিক প্রজ্ঞা দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘ দুই মাস পর দলে ফিরে আসায় তিনি আবার পূর্ণোদ্যমে কাজ শুরু করতে পারবেন, যা জাতীয় রাজনীতিতে এনসিপি’র অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।