উত্তরঃ প্রতিবন্ধির ধরণ অনুযায়ী আমাদের অবশ্যই প্রতিবন্ধি শিশুর বিশেষ শিক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে হবে।
যেমনঃ দৃষ্টি প্রতিবন্ধিদের জন্য ব্রেইল পদ্ধতি,শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধির জন্য ইশারায় ভাষা শিক্ষা, বুদ্ধি প্রতিবন্ধিদের নিজের কাজ নিজে করতে পারার প্রশিক্ষণ ইত্যাদি।এছাড়াও তাদেরকে বিভিন্ন ধরণের উপার্জন করার জন্য বৃওিমূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।এসব প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যই থাকে শিশুটি যেন আত্ন নির্ভরশীল হতে পারে।এই কার্যক্রম তখনই সফল হবে যখন শিক্ষকেরা তাদের প্রতি যত্নবান হবে।তাদের সৌহার্দ্যপূর্ণ কন্ঠস্বর, ধৈর্য, আন্তরিকতা একজন প্রতিবন্ধি শিশুকে প্রশিক্ষণে উৎসাহী করে গড়ে তুলে।স্কুলে আসতে আগ্রহী করে তুলবে।
মরা প্রতিবন্ধি শিশুর দায়িত্বপালনে যা যা পালনে যা যা করতে পারিঃ
১.যেকোনো সামাজিক আচার অনুষ্ঠানে তাদের সঙ্গ দেওয়া এবং দেখাশুনার দায়িত্ব নিতে হবে।
২.প্রতিবন্ধি শিশুর ধরণ অনুযায়ী খেলাধুলার আয়োজন করতে হবে। যেমনঃ দৃষ্টি প্রতিবন্ধিদের গান শুনানো।
৩.আমাদের এলাকার কোন প্রতিবন্ধি দরিদ্র হলে তার জন্য আর্থিক সহায়তার উদ্যোগ নিতে পারি।
৪.ছোট শিশুরা প্রতিবন্ধি শিশুকে ভয় পায়। আর এই ভয় দূর করার জন্য আমরা ভূমিকা রাখতে পারি।
৫. প্রতিবন্ধি শিশুদের জন্য ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে তা সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারি।
প্রতিবন্ধি শিশুটির পরিবারের প্রতি যত সম্ভব সহযোগিতার হাত বাড়ানো সম্ভব।
আমাদের সব কাজের মধ্যে বুঝাতে হবে যে প্রতিবন্ধি শিশুটির পাশে আমরাও আছি।সমাজের সবার অফুরন্ত ভালোবাসা তাদের এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে। তাদের জগৎটাকে সহজ ও সুন্দর করে তুলবে।