ভূত, প্রেত,আত্মা এই অশরীরী প্রাণীদের ভয় আমাদের প্রায় অনেকের ই আছে। আজ আমি তেমনি একটি অশরীরী প্রাণীর কথা বলব যা সাধারাণত আজকালকার লোকজন বেশি না জানলেও একটা সময় বেশ ভয় এবং আতংকের একটা বিষয় ছিলো। বন্ধুরা আজ আমি কিছু অজানা তথ্য দেবো সবাইকে মোমো সম্পর্কে। মোমো সম্পর্কে কোনো বেশি ধারণা আমাদের দেশে না থাকলেও বিদেশের অনেক দেশে মোমো সম্পর্কে অনেক ভয় ছিলো একটা সময়।আর সবাই বিশেষ করে জাপানি শিশুরা মোমো নামটাকেও অনেক ভয় পেতো একটা সময়। চল জেনে নেয়া যাক মোমো দেখতে কেমন।মোমো দেখতে অত্যন্ত ভয়ংকর একটা ভূত।তার মুখটা দেখতে খুব ভয়ানক আর তার পুরো মুখটা চেড়া।দেখে এমন মনে হয় যেনো কেও তার পুরো গালটা কিছু দিয়ে চিড়ে দিয়েছে। তার মুখটা দেখতে এতটাই বিভৎস যে শুধু শিশুরা না বড়রাও তাকে দেখে অনেক ভয় পেয়ে যাবে।এই মোমো নামের আত্মার ব্যাপক আতংক ছিলো একসময় জাপানের শিশুদের মাঝে। মোমো সুন্দরী নারীর বেশে জাপানের নির্জন রাস্তা দিয়ে হেটে যাওয়া শিশুদের ডেকে নিজের কাছে নিয়ে যেতো। তারপর সে সেই শিশুদের একটি প্রশ্ন করতো। সেই প্রশ্নের সঠিক উত্তর কেও কখনো দিতে পারতো না আর তখন মোমো সেই শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করতো। নিশ্চয়ই তোমাদের মনে আগ্রহ জাগছে এটা জানার জন্য যে মোমো কি এমন প্রশ্ন করতো যার উত্তর কারো পক্ষেই দেয়া সম্ভব হতো না?মোমো শিশুদের তার কাছে ডেকে নিয়ে প্রশ্ন করতো,”বলো তো আমি কি দেখতে সুন্দর ”
তখন তার সুন্দর মুখ দেখে শিশুরা জবাব দিতো,”হ্যা। অবশ্যই আপনি দেখতে সুন্দর “।শিশুর এই উত্তর শোনার পর মোমো তার কাটা বিভৎস মুখটি সামনে এনে আবারো সেই একই প্রশ্ন করতো। তখন তার মুখ দেখে শিশুটি যদি আবারও সেই প্রশ্নের উত্তরে বলতো হ্যাঁ সে সুন্দরী তখন মোমো তার কাছে লুকিয়ে রাখা ছুরি বের করে তার মুখ চিড়ে দিতো। আর যদি তার আসল রূপ দেখার পর শিশুটি উত্তর দিতো যে সে সুন্দরী নয় তখন সে খুব ই রেগে যেতো এবং তাকে হত্যা করতো।মোমোর এই আতংকে একসময় জাপানের শিশুরা স্কুলে যেতে ভিষণ ভয় পেতো।। এবং তারা বাড়ির বাইরেও যেতে ভয় পেতো। একসময় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিলো জাপানিদের মাঝে এই মোমোকে নিয়ে।কিন্তু কে এই মোমো কোথা থেকে এলো সে? আর তার মুখের বিভৎসতার কারণ ই বা কি ছিলো?
মোমো নামের এই আত্মাটি একজন সামোরায় অর্থাৎ প্রাচীন জাপানি যোদ্ধার স্ত্রীর আত্মা।সেই যোদ্ধার স্ত্রী ছিলেন অত্যন্ত সুন্দরী একজন নারী।আর সে তার রূপের জন্য অনেক অহংকার করতো। তো তার স্বামী যোদ্ধা ছিলেন যার জন্য তাকে প্রায়৷ ই বাইরে থাকতে হতো।তেমনি একবার এক কাজে সে বাইরে যায় এবং কিছুদিন পর ফিরে এসে তার স্ত্রীকে অন্য পুরুষের সাথে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখতে পায়।এটা দেখে যে অত্যন্ত রেগে য্য এবং তার স্ত্রীর যে সুন্দর মুখ নিয়ে তার অনেক অহংকার সেই সুন্দর মুখটা যে তার তলোয়ার দিয়ে চিরে দেয়।তখন তার স্ত্রী তার নিজের মুখ দেখে খুব ই কষ্ট পায় এবং নিজেকে একটি ঘরে বন্দী করে রাখে।তারপর তার মুখের অবস্থা আরো খারাপ হতে থাকে আর সে তার সুন্দর রূপের এমন বিভৎস অবস্থা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে আর তারপর থেকে তার আত্মা ঘুরে বেড়াতে থাকে সব যায়গায় এবং সবাইকে ভয় দেখায় এবং বিভৎসভাবে হত্যা করে।
রমজান মাসে পড়াশোনা করার কার্যকরী রুটিন
রমজান মাসে পড়াশোনা করার কার্যকরী রুটিন রমজান মাসে পড়াশোনা করার কার্যকরী রুটিন এখন চলছে রমজান মাস , আর আমরা সকলেই...