প্রতিনিধি ২০ অগাস্ট ২০২৫ , ২:৫৪ পিএম প্রিন্ট সংস্করণ
দীর্ঘদিনের অসুস্থতা নিয়ে চলা সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার দুপুরে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয় এবং তিনি তার গুলশানের বাসভবনে ফিরে যান। তার এই প্রত্যাবর্তনে রাজনৈতিক অঙ্গনে স্বস্তি ফিরে এসেছে, বিশেষ করে দলের নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থাইল্যান্ডে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরেন মির্জা ফখরুল। দেশে ফেরার পর থেকেই তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে এক ধরনের উদ্বেগ বিরাজ করছিল। দেশে ফিরেই তিনি গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দেন। রাত ১১টা পর্যন্ত চলা সেই বৈঠকের মাঝেই হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন তাকে দ্রুত ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যান।
মির্জা ফখরুলের হাসপাতালে ভর্তির খবরটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়। তবে বুধবার সকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং চিকিৎসকরা জানান যে তার অবস্থা স্থিতিশীল এবং তিনি বর্তমানে শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন। তারা নিশ্চিত করেন যে তার কোনো গুরুতর সমস্যা নেই। এরপরই তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
দীর্ঘদিন ধরে মির্জা ফখরুল বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। বিশেষ করে তার ঘাড়ের একটি সমস্যা রয়েছে, যার জন্য তিনি এর আগেও দেশে ও বিদেশে চিকিৎসা নিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরে আসার পরপরই অসুস্থ হয়ে পড়ায় দলের নেতাকর্মী এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছিল। তবে হাসপাতাল থেকে তার বাসায় ফেরার খবরে সকলেই স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
মির্জা ফখরুলের অসুস্থতা এবং দ্রুত হাসপাতাল থেকে ফিরে আসা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তার মতো একজন শীর্ষ নেতার সুস্থ থাকা অত্যন্ত জরুরি। সামনে আন্দোলন ও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলের কৌশল নির্ধারণে তার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই তার সুস্থতা বিএনপির জন্য একটি ইতিবাচক খবর।
বিএনপি মহাসচিবের বাসায় ফেরা দলের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে। বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। আশা করা যাচ্ছে, তিনি শীঘ্রই পূর্ণ সুস্থ হয়ে আবার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে পারবেন। তার অসুস্থতার কারণ হিসেবে চিকিৎসকরা মূলত দীর্ঘদিনের শারীরিক চাপ এবং ক্লান্তিকেই দায়ী করেছেন। তার দ্রুত আরোগ্য এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে সক্রিয়ভাবে ফিরে আসা দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি ইতিবাচক দিক।