বিনোদন

রাধিকা আপ্তের তিক্ত অভিজ্ঞতা: গর্ভবতী অবস্থায় চরম হেনস্তা

  প্রতিনিধি ৯ অগাস্ট ২০২৫ , ৯:০৮ এএম প্রিন্ট সংস্করণ

পরিচালকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ রাধিকার

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাধিকা আপ্তে সম্প্রতি তাঁর অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন সময়ের এক চরম তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ্যে এনেছেন। তিনি জানান, যখন তিনি গর্ভবতী ছিলেন, তখন একজন পরিচালক তাঁর সঙ্গে অত্যন্ত অমানবিক আচরণ করেছিলেন। এই অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করতে গিয়ে রাধিকা বলেন যে, তাঁর অন্তঃসত্ত্বার খবর শুনে সেই পরিচালক মোটেও খুশি হননি। উল্টো, তিনি রাধিকাকে আরও টাইট পোশাক পরতে বাধ্য করেন এবং ওজন বেড়ে যাওয়ায় তাঁকে নানাভাবে কটূক্তি করেন।

নেহা ধুপিয়ার ‘ফ্রিডম টু ফিড’ নামের একটি লাইভ সেশনে এসে রাধিকা আপ্তে এই গুরুতর অভিযোগগুলো করেন। তিনি আরও জানান যে, সেই পরিচালক নাকি তাঁকে ডাক্তারের কাছেও যেতে দেননি, যখন তিনি শারীরিক অস্বস্তি বোধ করছিলেন।

রাধিকা বলেন, “আমি তখন তিন মাসের গর্ভবতী ছিলাম। আমার প্রচণ্ড খিদে পেত এবং আমি প্রচুর খেতাম, যার ফলে আমার শারীরিক পরিবর্তন হচ্ছিল। কিন্তু সেই পরিচালক আমার দিকটা বোঝার পরিবর্তে আমাকে নানাভাবে হেনস্তা করতেন। আমি সব সহ্য করছিলাম, কিন্তু যখন সেটে আমার ব্যথা হতো এবং আমি অস্বস্তি বোধ করতাম, তখন তিনি আমাকে ডাক্তার দেখাতে যেতেও দেননি। এই ধরনের আচরণ আমাকে মানসিকভাবে ভেঙে দিয়েছিল।” যদিও সেই পরিচালকের নাম তিনি প্রকাশ করেননি, তবে রাধিকার কথায় স্পষ্ট বোঝা যায় যে এই ঘটনা তাঁকে কতটা কষ্ট দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, “আমি কোনো বিশেষ সুবিধা চাইনি, শুধু একটু মানবিকতা আশা করেছিলাম।”

একই সাক্ষাৎকারে রাধিকা হলিউডের একজন পরিচালকের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন যে, যখন তিনি হলিউডের সেই পরিচালককে তাঁর গর্ভবতী হওয়া এবং ওজন বাড়ার কথা জানান, তখন তিনি বলেন, “এতে কোনো সমস্যা নেই। আপনি গর্ভবতী, এবং এসব কিছুই খুব স্বাভাবিক।” দুই ভিন্ন সংস্কৃতির এই দুই পরিচালকের আচরণে আকাশ-পাতাল পার্থক্য দেখে রাধিকা আপ্তে হতাশ হন।

রাধিকা আপ্তে ২০১২ সালে ব্রিটিশ সুরকার বেনেডিক্ট টেলরকে বিয়ে করেন এবং গত বছর ডিসেম্বরে তাঁরা একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। বলিউডে এমন ঘটনা নতুন না হলেও, রাধিকা আপ্তের এই সাহসী স্বীকারোক্তি অনেককে চমকে দিয়েছে। এই ঘটনা আবারও প্রশ্ন তুলেছে যে, অভিনয় জগতে একজন নারীর ব্যক্তিগত জীবন কতটা সম্মান পায়। এই ধরনের অমানবিক আচরণ কেবল শারীরিক কষ্টই দেয় না, বরং মানসিক চাপও সৃষ্টি করে, যা একজন গর্ভবতী নারীর জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে। রাধিকা আপ্তের এই অভিজ্ঞতা তারকাদের ব্যক্তিগত জীবনের অজানা অন্ধকার দিকটা আবারও সবার সামনে তুলে ধরল।