যারা সবসময় ফুটবল খেলা দেখেন কিংবা টুকটাক ও এই দুনিয়ার ও খবর রাখেন , লিওনেল মেসির নাম তাদের কাছে অপরিচিত কিছু নয়। হ্যা ফুটবলের জাদুকর বলা হয় যাকে লিওনেল মেসি তার নাম।তার পায়ের জাদুতে মোহাচ্ছন্ন হয়ে আছে সারা বিশ্ব। পেলে কিংবা ম্যারাডোনার সেই বিখ্যাত দিনগুলোতে আমরা যারা এ প্রজন্মের কেউ ছিলাম না তারা অত্যন্ত মেসিকে দেখে নতুন করে ফুটবলের প্রেমে পড়েছে অবশ্যই।
ছোট খাটো ছিপছিপে গড়নের এই মানুষটা মাঠের এই প্রান্ত থেকে বল নিয়ে ছুটলে মনে হয় সৃষ্টিকর্তা এক নতুন রং তুলির ক্যানভাস সৃষ্টি করে ফুটবল মাঠে।
এই ফুটবলের ক্ষুদে জাদুকর ,লিওনেল মেসির জন্ম ২৪ জুন ১৯৮৭ সালে , আর্জেন্টিনার রোসারিও শহরে। অথচ এই লিওনের মেসির আজকে মেসি হয়ে উঠাটা কিন্তু খুব একটা সহজ ছিলো না। খুব ছোটবেলায় গ্রোথ হরমোন সংক্রান্ত জটিলতায় আক্রান্ত হন
স্প্যানিশ জনপ্রিয় ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা কিন্তু চিনতে ভুল করেননি এই ক্ষুদে যাদুকর কে। মেসির চিকিৎসার সকল দায়িত্ব নিয়েছিল বার্সালোনা তাই মাত্র ১৩ বছর বয়সে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনায় যোগ দিতে নিজ দেশ ছেড়ে চলে আসেন মেসি।
বার্সেলোনায় মূল দলে ২০০৪ সালে অভিষেক হয় মেসির এবং এর পর থেকে একের পর এক রেকর্ড গড়তে শুরু করেন আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা ।
আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে মেসির অভিষেক হয়,২০০৫ সালে এবং ২০০৬ বিশ্বকাপে সর্ব কনিষ্ঠ আর্জেন্টাইন হিসেবে বিশ্বকাপ খেলেন মেসি। কোন ধরনের শিরোপা নেই তার ঝুলিতে। ব্যালন ডিয়ার জি জিতেছেন ছয়বার যার মধ্যে চারটি জিতেছেন টানা চার বছর। এছাড়া ইউরোপীয় গোল্ড শু জিতেছেন টানা ছয় বার একটি রেকর্ড বলা চলে।
তিনি ফুটবল শুরু করেন বার্সালোনা ক্লাবে এবং এখন পর্যন্ত তিনি এখানেই রয়েছেন এবং এই ক্লাব তার সবচেয়ে প্রিয়। বার্সেলোনার হয়ে তিনি মোট 32 টি শিরোপা জিতেছেন আর এ ছাড়া রয়েছে তার রেকর্ড সংখ্যক গোল আমাদের বুঝিয়ে দেয় তিনি কত বড় মাপের খেলোয়াড়। জাতীয় দল এবং ক্লাবের হয়ে তিনি প্রায় 600 এর অধিক পেশাদার গোল করেছেন।
এক বছরে সর্বোচ্চ গোলের জন্য গিনেস বুকেও রয়েছে তার রেকর্ড। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন তারকা খেলোয়াড় সহ বিখ্যাত সব যারা ফুটবলের দুনিয়ায় রাজত্ব করে গেছেন তারাও লিওনেল মেসিকে সেরা খেলোয়াড় হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বহুবার।
ছোটবেলার প্রেমিকা এন্তোলিনা কে বিয়ে করেছেন এবং বর্তমানে তার সুখের সংসার রয়েছে তিনটি পুত্র।
সবকিছু থাকার পরেও, ক্লাবের হয়ে এত সাফল্যের পরেও আর্জেন্টিনার একজন খেলোয়াড় হিসেবে কেন জানি সবাই তাকে মলিন হিসেবে আখ্যায়িত করে। বার্সালোনা ক্লাবে আমরা ঠিক যে
মেসিকে দেখতে পাই আর্জেন্টিনা দলে সেই মেসিকে পাওয়া যায়না ভক্তদের এই অভিযোগ সব সময় কিন্তু আসলেই কি তাই আর্জেন্টিনা দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা কিন্তু লিওনেল মেসি তবে জাতীয় দলের হয়ে এখনো কোনো বড় শিরোপা জেতা হয়নি মেসির।
শুধু কি ভক্তদের, লিওনেল মেসির মনের মাঝে রয়েছে এনিয়ে বড় আপেক্ষ। তিনিও জাতীয় দলের হয়ে জিততে চান বিশ্বকাপ। খুব কাছাকাছি গিয়েও হয়তো মেসির বিশ্বকাপ জেতা হয়নি কিন্তু আমরা আশা রাখি সৃষ্টিকর্তা ফুটবলের জাদুকর কে নিরাশ করবেন না আর যদি নিরাশ হতে হয় সারা জীবন ইতিহাসের পাতায় লিওনেল মেসি থাকবেন ফুটবলে জাদুকর যে কিনা ১০ নাম্বার জার্সি গায়ে ফুটবল মাঠ কে বানিয়েছেন রঙ তুলি ক্যানভাস এবং তার পাজোড়া দিয়ে দেখিয়েছেন নতুন নতুন ছন্দ।
রাশিয়া বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮ এর সময়সূচী – ফিফা
রাশিয়া বিশ্বকাপ ফুটবল শুরু হতে যাচ্ছে ১৪ জুন ২০১৮ সাল থেকে।মাসব্যাপী এই খেলার শুক্রবার আনুষ্ঠানিক ড্রয়ের পর পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি প্রকাশ...