সফল হল দেশের প্রথম ক্লিনিক্যাল ট্রিয়ালস :
কেমন আছেন আপনারা ? আশা করছি সবাই ভালো আছেন।
করোনা ভাইরাসে বিপর্যস্ত পুরো বিশ্ব। আর সেই ভাইরাস কে প্রতিরোধে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো। আর তা হল প্লাসমা থেরাপি। দেশে পাঁচমাথা রাতের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল দুই দিন আগে শুরু হয়েছিল আর একদিন যেতে না যেতেই মিলল সাফল্য। গতকাল ভেন্টিলেটরে থাকা এক রোগীকে প্লাসমা থেরাপি দেওয়া হলে সে রোগীৱ অক্সিজেন নেওয়ার ক্ষমতা 30% থেকে 60% উত্তীর্ণ হয়। এটি ছিল প্রথম প্লাজমা থেরাপি চিকিৎসাৱ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালেৱ প্রথম 24 ঘন্টার ফলাফল। এই ফলাফলের মাধ্যমে প্লাজমা থেরাপিৱ চিকিৎসা আরো জোরদার করাৱ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য তাপমাত্রা বলতে বুঝায় যে সকল করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে গেছে তাদের শরীরে করোনা প্রতিরোধী এন্টিবডি তৈরি হয়। আর এই এন্টিবডি যদি কোন কোন আক্রান্ত রোগীর শরীরে দেওয়া হয় তবে সেই রোগীর শরীরে খুব দ্রুত করণা প্রতিরোধে এন্টিবডি তৈরি হয় এবং সেই রোগীর প্রতি দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ তিন জনকে এই ব্যবস্থায় প্লাজমা দিতে পারে। তবে প্লাসমা থেরাপি দেবার সময় সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো দাতা এবং গ্রহীতা উভয়ের রক্তের ক্রস ম্যাচিং করতে হবে। অর্থাৎ একজন ব্যক্তি যখন অন্য ব্যক্তিকে রক্ত দেয় তখন যে সকল বিষয় নিল থাকতে হয় ,যেমন, রক্তের গ্রুপ , ঠিক সে বিষয় গুলো প্লাসমা থেরাপি দেওয়ার সময় সে সকল মিল থাকতে হয়।
গত রবিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করণা ভাইরাস থেকে মুক্ত হওয়া কয়েকজন ডাক্তার স্বেচ্ছায় তাদের প্লাজমা প্রদান করে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য। আর সেই প্লাসমা দেওয়া হয় ভেন্টিলেটরে থাকা এক রোগীকে। আর সেই রোগী মাত্র 24 ঘণ্টার ব্যবধানে শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়ার ক্ষমতা 30 শতাংশ থেকে 60 শতাংশে বৃদ্ধি পায়। উল্লেখ্য ভেন্টিলেটরে সে সকল রোগীকে রাখা হয় যারা মুমূর্ষু অবস্থায় আছে। তারা নিজ থেকে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে । তাদেরকে কৃত্রিম ব্যবস্থার মাধ্যমে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে হয় যেটাকে ভেন্টিলেটর বলা হয়। আর এই সকল রোগীর সুস্থ হয়ে ওঠার আশা খুবই কম।
প্লাজমা চিকিৎসার মাধ্যমে যদি এই সকল রোগিৱ শ্বাস-প্রশ্বাসের হার মাত্র 24 ঘন্টার মধ্যে 60 শতাংশ বৃদ্ধি পায় তবে খুব দ্রুত সে সকল রোগী তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে। ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে যে গণহারে প্লাসমা চিকিৎসার জন্য করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে যাওয়া রোগীদের থেকে প্লাজমা সংগ্রহের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। আশা করছি অতি দ্রুতই সকলের জন্য প্লাসমা চিকিৎসা উন্মুক্ত করা হবে ।ধন্যবাদ।
বেড়ে যাচ্ছে মোবাইলের কলরেট এবং তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য !
আসসালামু আলাইকুম।! হ্যালো পাঠক কেমন আছেন আশা করি অনেক ভাল আছেন আমি অনেক ভালো আছি তো চলুন শুরু করা...