প্রতিনিধি ৯ অগাস্ট ২০২৫ , ১২:৪০ পিএম প্রিন্ট সংস্করণ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও মাঠ পর্যায়ের প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের দীর্ঘদিনের বেতন বৈষম্য দূর করতে বেতন ও পদমর্যাদা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রস্তাব অনুযায়ী, সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১৩তম গ্রেড থেকে উন্নীত করে ১১তম গ্রেড করার সুপারিশ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, মাঠ পর্যায়ের সকল শিক্ষা কর্মকর্তার বেতন এক ধাপ বাড়ানোর প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে, যা ইতোমধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক অনুমোদন পেয়েছে।
সম্প্রতি উচ্চ আদালতের নির্দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হয়। এর ফলে সহকারী শিক্ষক এবং সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের মধ্যে নতুন করে অসন্তোষ দেখা দেয়। বর্তমানে প্রধান শিক্ষকের বেতন এবং তদারকি কর্মকর্তা হিসেবে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বেতন একই গ্রেডে থাকায় প্রশাসনিক জটিলতা তৈরি হচ্ছিল। অন্যদিকে, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে বেতন কাঠামোয় তিন ধাপের পার্থক্য তৈরি হয়, যা প্রায় ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। সহকারী শিক্ষকরা এই ব্যবধানকে ‘বৈষম্য’ হিসেবে দেখছিলেন, যার নিরসনে সরকার এখন এই পদক্ষেপ নিচ্ছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান জানিয়েছেন, সহকারী শিক্ষকদের পদনাম পরিবর্তন করে শুধু ‘শিক্ষক’ করা হয়েছে এবং তাদের বেতন স্কেল ১১তম গ্রেডে উন্নীত করার প্রস্তাব সরকারকে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, এই বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা, অর্থ সচিব এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিবের সঙ্গে ইতিবাচক বৈঠক হয়েছে এবং নতুন পে-কমিশনের কাছে প্রস্তাবটি জমা দেওয়া হচ্ছে।
প্রস্তাবিত বেতন কাঠামো অনুযায়ী, সারাদেশের সাড়ে তিন লাখেরও বেশি সহকারী শিক্ষক ১৩তম গ্রেডের (১১,০০০ টাকা স্কেল) পরিবর্তে ১১তম গ্রেডের (১২,৫০০ টাকা স্কেল) অন্তর্ভুক্ত হবেন। এছাড়াও, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বেতনও এক ধাপ করে বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। যেমন:
এই পদক্ষেপ সরকারি প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে, কারণ এতে শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হবে এবং তাদের মধ্যে কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়বে।