বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের টেস্ট অভিষেক হয় ৭-ই মে,২০০৭ বাংলাদেশের চট্ট্রগ্রামে।তার অভিষিক্ত ম্যাচে প্রতিপক্ষ হিসেবে পান ভারত কে।যারা এখনের মতো তখনো ক্রিকেটের পরাশক্তি হিসেবে বিবেচিত হতো।সাকিব তার অভিষেকের ম্যাচের ব্যাট হাত বেশি সুবিধা করতে পারেন নি।প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ৪৯ বল খেলে মাত্র ২৭ রান।যার মধ্যে ৪ এর মার ছিল ৪ টি।স্ট্রাইক রেট ছিল ৫৫.১০।ক্রিজে অবস্থান করেছিলেন ৬২ মিনিট।প্রথম ইনিংসে বল হাতে কোনো উইকেট না পেলেও প্রতিপক্ষকে চেপে ধরেছিলেন ভালো মতোই।কারণ প্রথম ইনিংসে তার বোলিং ফিগার ছিল-১৩ ওভার,২ মেইডেন,রান-২৯,০ উইকেট,ইকোনমি ২.২৩।তাছাড়া তার বোলিংয়ে কোনো এক্সট্রা রান ছিল না।প্রথম ইনিংসে এদিকে মাশরাফি ২৪.৫ ওভার হাত ঘুরিয়ে পেয়েছিলেন ৪ টি মূল্যবান উইকেট।বোলিংয়ে রান দিয়েছিলেন ৯৭ এবং ইকোনমি ছিল ৩.৯০।কিন্তু তার ২৪.৫ ওভার বোলিংয়ের মধ্যে নো বল ৫ টি সহ ৬ টি রান এক্সট্রা ছিল।প্রথম ইনিংসে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশের মাশরাফির ৯১ বল থেকে ঝড়ো ৭৯ রানের ইনিংসটি অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশের জন্য।বৃষ্টির জন্য ২ দলই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট আর বল করার জন্য যথেষ্ট সময় পাই নি।দ্বিতীয় ইনিংসে মাশরাফি ৮ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১ টি উইকেট নেন এবং সাকিব বল করার সুযোগ পান নি।দ্বিতীয় ইনিংসে মাশরাফি,সাকিব কেউই ব্যাট করার সুযোগ পাই নি।এর মূল কারণ ছিল বৃষ্টির হানা।বৃষ্টি মূলত এসেছিলো তৃতীয় দিনে,যার ফলে সেদিন এক বলও মাঠে গড়ায় নি।ফলস্বরূপ ম্যাচের রেজাল্ট আসে ড্র।মাশরাফি এই ম্যাচে ২ ইনিংসে ৫ উইকেট এবং প্রথম ইনিংসে ৭৯ রান করে ভারতের বিপক্ষে পান ম্যাচ সেরার পুরস্কার।সাকিবের টেস্ট অভিষেক খানিকটা মলিন হলেও মাশরাফির জন্য সে টেস্ট ছিল অন্য কিছু।মূলত অভিষেক ম্যাচ দিয়ে কিংবা ১ টি ম্যাচ দিয়েই যে নিজের জাত চিনাতে হবে,ব্যাপারটা তেমন না।অনেক সময় অভিষেক ভালো হয়,অনেক সময় তা হয় না।কিন্তু এর জন্য নিজে ভেঙে না পরে নিজেকে গড়তে হবে নতুন উদ্যমে।যার প্রকৃষ্ট উদহারণ সাকিব।সে এখন কোন পর্যায়ে তা নতুন করে বলার কিছুই নেই।
আইপিএল নিলামে জায়গা পেলেন সাকিব,মোস্তাফিজ সহ আরো তিনজন বাংলাদেশি ক্রিকেটার
ক্রিকেট খেলাই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট টি জনপ্রিয় করার পিছনে যে ঘরোয়া লীগটির সবচেয়ে বড় অবদান সেটি হচ্ছে আইপিএল।যার পুরো নাম ইন্ডিয়ান...