খেলাধুলা

সাকিবের জোড়া বিশ্বরেকর্ড: ৫০০ উইকেটের পাশাপাশি ৭০০০ রান ও ৫০০ উইকেটের নতুন মাইলফলক

  প্রতিনিধি ২৫ অগাস্ট ২০২৫ , ৯:৫৭ এএম প্রিন্ট সংস্করণ

সাকিবের জোড়া বিশ্বরেকর্ড: ৫০০ উইকেটের পাশাপাশি ৭০০০ রান ও ৫০০ উইকেটের নতুন মাইলফলক

অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকনসের হয়ে অবশেষে নিজের জাত চেনালেন বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। শনিবার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের বিপক্ষে তার অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ৭ উইকেটের দারুণ জয় পেয়েছে ফ্যালকনস। এই ম্যাচে তিনি বল হাতে গড়েছেন নতুন বিশ্বরেকর্ড, এরপর ব্যাট হাতে খেলেছেন ম্যাচ জেতানো একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য তিনি হয়েছেন ম্যাচসেরা খেলোয়াড়।

টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকনস। বল হাতে শুরুতেই জাদু দেখান সাকিব। নিজের প্রথম ওভারেই সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ানকে (২৬ বলে ৩০) আউট করে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৫০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন। প্রথম বাঁহাতি বোলার হিসেবে এই কীর্তি গড়েন তিনি। ইতিহাসে পঞ্চম বোলার হিসেবে ৫০০ উইকেটের ক্লাবে প্রবেশ করেন সাকিব। এই মাইলফলক স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি আরেকটি বিশ্বরেকর্ড গড়ে ফেলেন। বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ৭০০০ রান এবং ৫০০ উইকেটের ডাবল মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি।

প্রথম ওভারের পর সাকিবের বোলিং পারফরম্যান্স ছিল দুর্দান্ত। ১৭তম ওভারে আবার বল হাতে এসে তিনি আরও দুটি উইকেট তুলে নেন। কাইল মেয়ার্স (১৮ বলে ১৩) এবং নাভিন বিদাইসিকে (১) সাজঘরে ফিরিয়ে দেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তার বোলিং ফিগার ছিল ২ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে ৩ উইকেট। এই পারফরম্যান্সের সুবাদে তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে মোট উইকেটের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫০২। ফ্যালকনসের হয়ে জেডেন সিলস, সালমান ইরশাদ এবং শামার স্প্রিংগার একটি করে উইকেট নেন। সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টস নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান করে।

১৩৪ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ফ্যালকনস শুরুটা ভালো করে। ওপেনিং জুটিতে জুয়েল অ্যান্ড্রু (২৮ বলে ২৮) এবং রাহকিম কর্নওয়াল (১৩ বলে ১৬) ভালো সূচনা এনে দেন। এরপর দলের হাল ধরেন কারিমা গোর। তিনি ৪৭ বলে অপরাজিত ৫২ রানের একটি শান্ত ও দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। সাকিবের ব্যাট থেকে আসে আরও একটি ঝোড়ো ইনিংস। ১৮ বলে ২৫ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসে তিনি একটি চার এবং দুটি ছক্কা মেরে দলের রানকে দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত ফ্যালকনস ১৯.৪ ওভারে ৭ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে।

এই জয়ের প্রধান নায়ক ছিলেন সাকিব আল হাসান। তার অসাধারণ বোলিং এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটিং পারফরম্যান্স ফ্যালকনসের জয়কে সহজ করে তোলে। এই ম্যাচে তিনি তার ক্যারিয়ারের ৪৪তম ম্যাচসেরার পুরস্কার অর্জন করেন, যা তার ধারাবাহিক পারফরম্যান্সেরই সাক্ষ্য দেয়। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অলরাউন্ডার হিসেবে তার এই জোড়া বিশ্বরেকর্ড সত্যিই বিরল এবং অবিস্মরণীয় এক অর্জন।