খেলাধুলা

নতুন মুখের খোঁজে বাংলাদেশ ফুটবল, জাতীয় দলে ডাক পেলেন যুব তারকারা

  প্রতিনিধি ২১ অগাস্ট ২০২৫ , ১:৩২ পিএম প্রিন্ট সংস্করণ

নতুন মুখের খোঁজে বাংলাদেশ ফুটবল, জাতীয় দলে ডাক পেলেন যুব তারকারা

গত মে মাসে অনূর্ধ্ব-১৯ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের হয়ে যারা নজর কেড়েছিলেন, সেই তরুণ ফুটবলারদের উপরই ভরসা রাখলেন জাতীয় দলের কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা। আসন্ন নেপাল ও হংকংয়ের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের জন্য যখন বসুন্ধরা কিংস তাদের ১০ জন তারকা খেলোয়াড়কে অনুশীলন ক্যাম্পে ছাড়তে অস্বীকৃতি জানায়, তখনই জাতীয় দলের দরজা খুলে যায় যুব দলের আট প্রতিভাবান ফুটবলারের জন্য।

জাতীয় স্টেডিয়ামের প্রবেশমুখে সম্প্রতি জামাল ভূঁইয়া এবং মিতুল মারমার মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের সাথে দেখা গেছে উদীয়মান তরুণদের। এদের মধ্যে রয়েছেন মুর্শেদ আলী, নাজমুল হুদা, এবং আশিকুর রহমানের মতো প্রতিভাবানরা। এই যুব খেলোয়াড়দের ওপর কাবরেরার ভরসা প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শুধুমাত্র বর্তমানের উপর নয়, বরং ভবিষ্যতের দিকেও নজর দিচ্ছে।

বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়দের অনুপস্থিতিতে জাতীয় দলের অনুশীলন ক্যাম্প কিছুটা সংকটে পড়েছিল। এই সংকট মোকাবেলায় কাবরেরা দ্রুত সিদ্ধান্ত নেন এবং যুব দলের এই ৮ জন তরুণ খেলোয়াড়কে ডেকে নেন। দলের সিনিয়র খেলোয়াড়রা যেমন জামাল ভূঁইয়া, তপু বর্মণ, এবং রাকিব হোসেনের পাশাপাশি এই তরুণদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা জানান, তিনি এই অনুশীলন ক্যাম্পের অগ্রগতিতে অত্যন্ত সন্তুষ্ট। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের ক্যাম্প খুব ইতিবাচকভাবে চলছে। ১৩ জন সিনিয়র খেলোয়াড় ইতিমধ্যেই ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন। বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়রা যোগ দিলে ক্যাম্প আরও শক্তিশালী হবে। তবে তারা না থাকায় আমরা অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকে কিছু প্রতিভাবান খেলোয়াড়কে ডেকেছি এবং তারা দারুণ পারফর্ম করছে।’

আগামী সেপ্টেম্বরের ৪, ৬ এবং ৯ তারিখে নেপালের মাটিতে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর অক্টোবরে হংকংয়ের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের দুটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচও রয়েছে। কাবরেরা মনে করেন, এই লম্বা প্রস্তুতি শিবির তার দলকে আগামী ম্যাচগুলোর জন্য প্রস্তুত করতে দারুণভাবে সাহায্য করবে। তিনি বলেন, ‘আমরা খুব খুশি যে ক্যাম্পটি পুরোদমে চলছে। এটি আমাদের জন্য খুবই কার্যকর হতে চলেছে, কারণ হাতে যথেষ্ট সময় আছে। শুধু নেপাল নয়, অক্টোবরে হংকং এবং নভেম্বরে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচগুলোতেও এই প্রস্তুতি কাজে দেবে।’

দীর্ঘমেয়াদি এই ক্যাম্পের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে কাবরেরা জানান, তিনি নতুন মৌসুম শুরুর আগেই এই অনুশীলন ক্যাম্পের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি কোনোরকম বিতর্ক চাই না। সবার প্রতি আমার পূর্ণ সম্মান রয়েছে। আমরা এখন শুধুমাত্র অনুশীলনে মনোযোগ দিতে চাই।’

এই তরুণদের জাতীয় দলের শিবিরে অন্তর্ভুক্ত করা একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। এটি শুধু দলে নতুন শক্তিই যোগ করবে না, বরং তরুণ প্রতিভাদের জন্য নিজেদের প্রমাণ করার একটি সুবর্ণ সুযোগ তৈরি করবে। আশা করা যায়, এই প্রীতি ম্যাচগুলো বাংলাদেশ দলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হবে এবং ভবিষ্যতে আরও সাফল্যের পথ খুলে দেবে।