শিক্ষা

বিজনেস জিনিয়াস বাংলাদেশ ২০২৫’-এ প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের দারুণ সাফল্য

  প্রতিনিধি ১১ অগাস্ট ২০২৫ , ৩:৪৭ পিএম প্রিন্ট সংস্করণ

বিজনেস জিনিয়াস বাংলাদেশ ২০২৫’-এ প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের দারুণ সাফল্য

 

দেশের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতা **‘১০ম ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস জিনিয়াস বাংলাদেশ ২০২৫’-**এ অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় দেশের শীর্ষ ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। এবারের প্রতিযোগিতার মূল থিম ছিল ‘এআই ইন মার্কেটিং অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস’। এই থিম শিক্ষার্থীদের মাঝে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে জ্ঞান এবং দক্ষতা বিকাশে দারুণ ভূমিকা রেখেছে।

শনিবার (০৯ আগস্ট) দিনব্যাপী এই আয়োজনে ছিল বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতা ও শিক্ষণীয় সেমিনার। শিক্ষার্থীরা তাদের মেধা ও সৃজনশীলতা প্রদর্শনের জন্য কুইজ প্রতিযোগিতা, বিজনেস আইডিয়া প্রেজেন্টেশন এবং বিজ্ঞাপন নির্মাণ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। একইসাথে, পেশাদার বক্তাদের পরিচালনায় সেমিনারগুলো তাদের ব্যবহারিক জ্ঞান বাড়াতে সাহায্য করেছে। এই প্রতিযোগিতার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বিজনেস জিনিয়াস বাংলাদেশের চিফ অ্যাডভাইজার, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর এম. আবদুল্লাহ আল মামুন এবং চেয়ারম্যান মি. এম. এ. নাহিয়ান।

এই প্রতিযোগিতায় প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের বিবিএ বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জুলফিকার আলীর নেতৃত্বে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে অংশ নেয়। তাদের এই অংশগ্রহণ এবং দারুণ পারফরম্যান্স সবার নজর কেড়েছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে আদিতা আলম কুইজ প্রতিযোগিতায় এক হাজারেরও বেশি প্রতিযোগীর মধ্যে যৌথভাবে প্রথম স্থান অর্জন করে। এটি তার অসাধারণ মেধা ও জ্ঞানের প্রতিফলন।

অন্যদিকে, সানজিদা আক্তার বীথি তার সৃজনশীল উপস্থাপনা ‘হাউ টু সেল রোবট মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি’-এর জন্য বিচারকদের সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নিজ ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান লাভ করেন। তার এই আইডিয়া মার্কেটিং জগতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিয়ে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন উজ্জ্বল অংশগ্রহণ এবং তাদের শিক্ষার্থীদের ব্যতিক্রমী সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ, তাদের ‘বেস্ট পার্টিসিপ্যান্ট অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়। এই পুরস্কার শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানই বৃদ্ধি করেনি, বরং এটি তাদের শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব, সৃজনশীলতা এবং পেশাগত দক্ষতা বিকাশে নিরন্তর প্রচেষ্টার প্রতিফলন।

এই সাফল্য প্রমাণ করে যে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় শুধু একাডেমিক উৎকর্ষতায়ই নয়, বরং শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক দক্ষতা বৃদ্ধিতেও সমানভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই ধরনের প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের বাস্তব জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত করে এবং ভবিষ্যতের সফল পেশাজীবী হিসেবে গড়ে তোলে।

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের এই অর্জন নিয়ে খুবই উচ্ছ্বসিত। এই ধরনের সাফল্য তাদের আগামীতে আরও ভালো করার জন্য অনুপ্রেরণা জোগাবে।