প্রতিনিধি ১৫ অগাস্ট ২০২৫ , ১০:৫৩ এএম প্রিন্ট সংস্করণ
সম্প্রতি ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্টে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। পোস্টটি দিয়েছেন বাংলাদেশের একজন পরিচিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আন্দালিব রহমান পার্থ। যদিও তিনি পোস্টে সরাসরি কারও নাম উল্লেখ করেননি, তবে এর রাজনৈতিক ইঙ্গিতপূর্ণ ভাষা অনেকের মনেই নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ঠিক কাকে লক্ষ্য করে এই পোস্ট দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে চলছে জোর জল্পনা। এই পোস্টের মাধ্যমে কি কোনো নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের ইঙ্গিত দেওয়া হলো, নাকি এটি শুধুই ব্যক্তিগত কোনো অভিব্যক্তি—এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।
পার্থের এই পোস্টটি দ্রুতই ভাইরাল হয়ে উঠেছে। রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত, পোস্টে লাইকের সংখ্যা ছিল ৭৫ হাজারেরও বেশি। মন্তব্যের ঘরে জমা পড়েছে প্রায় ২০ হাজার কমেন্ট এবং পোস্টটি শেয়ার হয়েছে আট হাজারের বেশিবার। এই বিপুল পরিমাণ প্রতিক্রিয়া থেকেই বোঝা যায়, পোস্টটি মানুষের মধ্যে কতটা আগ্রহ তৈরি করেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ—সবাই এই পোস্ট নিয়ে আলোচনা করছে। অনেকে মন্তব্য করে তাদের নিজস্ব মতামত প্রকাশ করেছেন, আবার অনেকে শুধু পোস্টটি শেয়ার করেই তাদের সমর্থন জানিয়েছেন।
এদিকে, রাজনীতির এই উত্তপ্ত পরিবেশের মধ্যেই স্থানীয় সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার মধ্যরাতের খাবারের রুটিন নিয়ে একটি তথ্য সামনে এসেছে। গত বৃহস্পতিবার তিনি জানান, অনেক সময়ই তার কাজ শেষ হতে ভোর হয়ে যায়। তখন বাসায় খাবার তৈরি করার মতো কেউ না থাকায় তিনি প্রায়ই ৩০০ ফুটের নীলা মার্কেটে হাঁসের মাংস খেতে যান। এই এলাকার হাঁসের মাংসের জনপ্রিয়তা অনেক। কিন্তু যদি আরও বেশি ভোর হয়ে যায় এবং নীলা মার্কেট বন্ধ পাওয়া যায়, তখন তিনি গুলশানের অভিজাত ওয়েস্টিন হোটেলে যান।
সজীব ভূঁইয়ার এই বক্তব্যটি সাধারণ মানুষের কাছে তার ব্যস্ত জীবনের একটি চিত্র তুলে ধরেছে। একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার এমন সাদামাটা জীবনের কিছু অংশ জানা সাধারণ মানুষের জন্য বেশ কৌতূহলের বিষয়। একদিকে, মধ্যরাতে কাজ শেষে একটি সাধারণ মার্কেটে গিয়ে খাবার খাওয়া তার জীবনযাত্রার একটি সহজ দিক প্রকাশ করে। অন্যদিকে, যখন ওই মার্কেট বন্ধ থাকে, তখন একটি বিলাসবহুল হোটেলে যাওয়া তার অবস্থানের আরেকটি দিক তুলে ধরে। এই দুটি ভিন্ন চিত্র একত্রিত হয়ে তার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে একটি মিশ্র ধারণা তৈরি করে।
পার্থের রাজনৈতিক ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট এবং সজীব ভূঁইয়ার মধ্যরাতের খাবারের রুটিনের খবর—এই দুটি ভিন্ন ঘটনা সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে