প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ: একাদশে ভর্তি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন উন্মাদনা
চলতি ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রথম ধাপের আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। সারাদেশের কলেজ ও মাদরাসায় কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে এই আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। এই ধাপে ১০,৭৩,৩৩৬ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন, এবং আজ বুধবার (২০ আগস্ট) রাত ৮টায় তাদের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে প্রথম ধাপের ফলাফল প্রকাশিত হবে। ফলাফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থীরা জানতে পারবেন, তাদের পছন্দের কোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য তারা মনোনীত হয়েছেন।
আবেদনের চিত্র: বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ
চলতি বছরের ১০ জুলাই এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছিল, যেখানে ১১টি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে মোট ১৩,০৩,৪২৬ জন শিক্ষার্থী পাস করেন। এরপর পুনঃনিরীক্ষণে আরও ৪,৭৯২ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হওয়ায় সর্বমোট পাস করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১৩,০৮,২১৮ জন। এদের মধ্যে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে পাস করা শিক্ষার্থী ১,০৪,৪১১ জন এবং স্কুল-মাদরাসা থেকে ১২,০৩,৮০৭ জন।
এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর মধ্যে ১০,৭৩,৩৩৬ জন প্রথম ধাপে একাদশে ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন। ৩০ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট রাত ৮টা পর্যন্ত এই আবেদন প্রক্রিয়া চলে। এই পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায়, বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী নিজেদের পছন্দের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
যারা আবেদন করেননি, তাদের জন্য থাকছে পরবর্তী সুযোগ
প্রথম ধাপে প্রায় ১,৩০,৪৭১ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেননি। এর কারণ হিসেবে ভর্তি কমিটি জানিয়েছে, অনেক শিক্ষার্থী তাদের প্রাপ্ত জিপিএ অনুযায়ী পছন্দক্রম সাজাতে পারেননি। ফলে তারা প্রথম ধাপে আবেদন করা থেকে বিরত থেকেছেন। তবে, এই শিক্ষার্থীদের হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। তাদের জন্য দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে আবেদন করার সুযোগ রাখা হয়েছে।
এছাড়াও, অনেক শিক্ষার্থী আছেন যারা প্রথম ধাপে আবেদন করলেও তাদের পছন্দের প্রতিষ্ঠান পাননি। কারণ, অনেক সময় তাদের জিপিএ এবং পছন্দক্রমের মধ্যে সামঞ্জস্য থাকে না। এমন শিক্ষার্থীরা চাইলে দ্বিতীয় ধাপে পুনরায় আবেদন করতে পারবেন। এটি তাদের জন্য আরও একটি সুযোগ, যাতে তারা নিজেদের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারেন।
ফলাফল ও ভর্তি নিশ্চয়ন প্রক্রিয়া: জানা জরুরি কিছু বিষয়
আজ প্রকাশিত ফলাফলে যেসব শিক্ষার্থী মনোনীত হবেন, তাদের মনোনীত কলেজ বা মাদরাসায় ভর্তি নিশ্চয়ন করতে হবে। ভর্তি নিশ্চয়ন করলে তাদের জন্য সেই প্রতিষ্ঠানে আসন নিশ্চিত হবে। যারা কোনো কারণে মনোনীত প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে চান না, তারা ভর্তি নিশ্চয়ন না করে পরবর্তী ধাপের জন্য অপেক্ষা করতে পারেন।
এছাড়াও, প্রথম ধাপে যারা মনোনীত হয়েছেন এবং ভর্তি নিশ্চয়ন করেছেন, তাদের জন্য মাইগ্রেশনের সুযোগ থাকবে। অর্থাৎ, তারা যদি পরবর্তী ধাপে তাদের চেয়ে ভালো কোনো প্রতিষ্ঠান বা পছন্দের তালিকায় উপরের দিকের কোনো প্রতিষ্ঠানে আসন খালি পান, তাহলে সেখানে চলে যেতে পারবেন। এই প্রক্রিয়াটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় সুবিধা, কারণ এটি তাদের পছন্দমতো প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ বাড়িয়ে তোলে।
সফলভাবে আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর এখন সবার নজর ফলাফলের দিকে। হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন, কখন ফলাফল প্রকাশিত হবে এবং তাদের পছন্দের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে।
প্রথম ধাপের ফল প্রকাশের পর ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইলে বা পরবর্তী ধাপের আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন থাকলে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।