‘ম্যানেজ মাস্টার’ ও ‘কলেজ রোড’ দিয়ে ছোটপর্দায় ফিরলেন নাবিলা, জানালেন ধারাবাহিকের প্রতি ভালোবাসার কারণ
বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নাবিলা ইসলাম, যিনি তার সাবলীল অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন। সম্প্রতি তার অভিনীত নতুন দুটি ধারাবাহিক নাটক শুরু হয়েছে, যা ছোটপর্দার দর্শকদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। এই ধারাবাহিকগুলো হলো সঞ্জিত সরকারের পরিচালনায় ‘ম্যানেজ মাস্টার’ এবং আনিসুর রহমান রাজীবের পরিচালনায় ‘কলেজ রোড’। এই নতুন দুটি প্রজেক্ট এবং তার অভিনয় জীবন নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেছেন তিনি।
নতুন দুই ধারাবাহিক নিয়ে নাবিলা
‘ম্যানেজ মাস্টার’ নিয়ে বলতে গিয়ে নাবিলা বলেন, “এর পরিচালক সঞ্জিত সরকার। এর আগে তার সঙ্গে আরটিভির ‘চিটার অ্যান্ড জেন্টেলম্যান’ নামের একটি নাটকে কাজ করেছি, যা ৬৭৬ পর্ব পর্যন্ত চলেছিল।” সঞ্জিত সরকারের হাস্যরসাত্মক ঘরানার নাটকগুলো সবসময়ই জনপ্রিয়। এই ধারাবাহিকটিও তার ব্যতিক্রম নয়। গল্পের প্লট সম্পর্কে নাবিলা জানান, নাটকে তিনি বিদেশ থেকে দেশে ফিরে তার মামার সঙ্গে থাকেন। এলাকার তরুণদের মধ্যে তাকে নিয়ে বেশ আগ্রহ থাকলেও মামার ভয়ে কেউ তার কাছে ভিড়তে পারে না। এই মজার প্রেক্ষাপট নিয়ে নাটকটি এগিয়েছে।
অন্যদিকে, আনিসুর রহমান রাজীব পরিচালিত ‘কলেজ রোড’ একটি ভিন্ন স্বাদের নাটক। এটি একটি কলেজ-কেন্দ্রিক গল্প, যেখানে কলেজ জীবনের বিভিন্ন দিক যেমন রাজনীতি, প্রেম-ভালোবাসা এবং আরও অনেক বাস্তব বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। নাবিলা এই নাটকের গল্পে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পেরে বেশ খুশি।
ধারাবাহিকের প্রতি নাবিলার ভালোবাসা
বর্তমানে অনেক অভিনয়শিল্পী একক নাটকে কাজ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করলেও, নাবিলা ইসলাম ধারাবাহিকে নিয়মিত অভিনয় করছেন। এই ব্যতিক্রমী পছন্দের কারণ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, এর পেছনে একটি বিশেষ কারণ রয়েছে। তিনি মনে করেন, ধারাবাহিক নাটক আমাদের সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সেই সাদাকালো যুগ থেকে শুরু করে আজও ধারাবাহিকের আবেদন দর্শকদের কাছে অনেক। তিনি বলেন, “এক দশক আগেও ধারাবাহিকের চাহিদা তুঙ্গে ছিল, যদিও হঠাৎ করেই কিছু শিল্পী একক নাটকের দিকে ঝুঁকে পড়েন। তবে মোশাররফ করিম ভাই, জাহিদ হাসান ভাই-এর মতো বড় তারকারা সবসময়ই ধারাবাহিকে কাজ করেছেন।”
নাবিলা মনে করেন, ধারাবাহিকে কাজ করার মাধ্যমে একটি ইউনিটের সদস্যদের মধ্যে পারিবারিক বন্ধন তৈরি হয়। দিনের পর দিন একসঙ্গে শুটিং করা, খাওয়া-দাওয়া এবং গল্প-গুজবের মাধ্যমে যে আন্তরিকতা গড়ে ওঠে, তা তার কাছে খুবই ভালো লাগে। তিনি আরও বলেন, “আমি যে একক নাটক করি না, তা কিন্তু নয়। তবে ধারাবাহিকে কাজ করতে আমি তুলনামূলকভাবে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।”
নাবিলার এই মন্তব্য থেকে বোঝা যায়, অভিনয়ের প্রতি তার ভালোবাসা শুধু পেশাদারিত্বের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং একটি ইউনিটের সঙ্গে কাজ করার মানবিক দিকগুলোও তাকে প্রভাবিত করে। তার এই মনোভাব নতুন প্রজন্মের অভিনয়শিল্পীদের জন্য একটি অনুপ্রেরণা হতে পারে, যারা কেবল একক নাটকের দিকেই আগ্রহী। নাবিলা তার ভিন্নধর্মী পছন্দ এবং দর্শকদের প্রতি তার ভালোবাসা দিয়ে ছোটপর্দায় আরও অনেক দিন রাজত্ব করবেন বলেই আশা করা যায়।