আন্তর্জাতিক

আমেরিকার পরাধীনতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে ইরানের ঐক্যের ডাক

  প্রতিনিধি ২৫ অগাস্ট ২০২৫ , ৯:৪১ এএম প্রিন্ট সংস্করণ

আমেরিকার পরাধীনতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে ইরানের ঐক্যের ডাক

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্যবাদী নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য দেশের মানুষের প্রতি ঐক্যের ডাক দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, ইরান কখনোই আমেরিকার কাছে মাথা নত করবে না। তার মতে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে নিজেদের তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় এবং ওয়াশিংটনের ইচ্ছার কাছে দেশকে নতজানু করতে বাধ্য করতে চায়। কিন্তু ইরানের জনগণ, সেনাবাহিনী এবং সরকার ঐক্যবদ্ধভাবে এর বিরুদ্ধে লড়ছে।

সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলোর সঙ্গে নতুন করে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে ইরান। এই আলোচনার প্রাক্কালে খামেনির এই কঠোর অবস্থান অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, গত জুনে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের যে হামলা হয়েছে, তা মূলত ইসলামি প্রজাতন্ত্রকে অস্থিতিশীল করার একটি বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ। এই হামলা শুধু সামরিক আক্রমণ ছিল না, বরং এটি ছিল ইরানের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করার একটি কৌশল।

আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি আরও বলেন, বিদেশি শক্তিগুলো এখন ভেতর থেকে ইরানকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে। তিনি অভিযোগ করেন, “শত্রুদের মূল কৌশল হলো দেশে বিভেদ তৈরি করা। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের এজেন্টরা ইরানি সমাজে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে।” এই বিভাজন সৃষ্টির মাধ্যমে তারা দেশের ভেতর থেকে প্রতিরোধকে দুর্বল করতে চায়। এর মাধ্যমে তারা নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

এই পরিস্থিতিতে খামেনি দেশের জনগণের দৃঢ়তার প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, আল্লাহর অশেষ কৃপায় আজ দেশ ঐক্যবদ্ধ। মতের ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও, যখন দেশের সামগ্রিক ব্যবস্থা, রাষ্ট্র এবং শত্রুর বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর প্রসঙ্গ আসে, তখন জনগণ একজোট হয়ে যায়। এই ঐক্যই ইরানের সবচেয়ে বড় শক্তি। এই ঐক্যের মাধ্যমেই ইরান শত্রুদের আঘাত প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে।

খামেনির মতে, যুক্তরাষ্ট্রের আসল উদ্দেশ্য হলো ইরানকে পরাধীন করা এবং নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করা। কিন্তু ইরান কখনোই এই চক্রান্তের কাছে মাথা নত করবে না। দেশের জনগণ, সরকার এবং সামরিক বাহিনী এক হয়ে এই সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে। এই ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের মাধ্যমেই ইরান তার সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীনতা রক্ষা করবে।