পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টানা ১০ দিনের ছুটি নিশ্চিত করতে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতেও খোলা থাকছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। আজ শনিবার (২৪ মে), সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হচ্ছে। এর ফলে গ্রাহকরা নির্বিঘ্নে তাদের সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোতে লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। লেনদেন পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। এই কার্যক্রমের উদ্দেশ্য হলো গ্রাহকদের ঈদের আগে আর্থিক লেনদেন সহজ করা এবং প্রয়োজনীয় সেবা নিশ্চিত করা। এর আগে, গত ১৭ মে একই কারণে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ব্যাংক খোলা ছিল।
ছুটির প্রজ্ঞাপন এবং এর কারণ
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুবিধার জন্য সরকার একটি বিশেষ প্রজ্ঞাপন জারি করে। গত ৭ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সাপ্তাহিক ছুটির দুই দিন (১৭ ও ২৪ মে) সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস খোলা থাকবে। এই প্রজ্ঞাপনের মূল লক্ষ্য ছিল ঈদের আগে জনগণের আর্থিক এবং প্রশাসনিক কাজ সহজ করা।
সরকার এবার ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হতে পারে। স্বাভাবিকভাবে ঈদের ছুটি নির্ধারিত ছিল ৫ থেকে ১০ জুন পর্যন্ত। তবে, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে এবং জনগণের ভোগান্তি কমাতে ১১ ও ১২ জুন (বুধ ও বৃহস্পতিবার) নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এই অতিরিক্ত ছুটির ফলে সরকারি চাকরিজীবীরা ৫ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত টানা ১০ দিনের ছুটি পাচ্ছেন।
ব্যাংকিং কার্যক্রমের গুরুত্ব
ঈদের আগে আর্থিক লেনদেনের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। বেতন, বোনাস, কেনাকাটা এবং ভ্রমণের জন্য আর্থিক ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন হয়। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ব্যাংক খোলা রাখার এই সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের জন্য খুবই উপকারী। এর মাধ্যমে তারা তাদের লেনদেন, চেক জমা, টাকা তোলা, এবং অন্যান্য আর্থিক সেবা সহজে নিতে পারবেন। ব্যাংক খোলা না থাকলে অনেক গ্রাহককে সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো, বিশেষ করে যাদের ঈদের আগে জরুরি আর্থিক লেনদেন করার প্রয়োজন রয়েছে।
সরকারি ও বেসরকারি অফিসের কার্যক্রম
শুধু ব্যাংক নয়, সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের প্রতিষ্ঠানই আজ খোলা থাকছে। এই সিদ্ধান্তের পেছনে মূল কারণ হলো, ঈদের দীর্ঘ ছুটির কারণে যাতে গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত না হয়। সরকারি অফিসগুলো খোলা থাকায় প্রশাসনিক কাজগুলো যথাসময়ে সম্পন্ন হবে, এবং জনগণের সেবা প্রদানে কোনো বিঘ্ন ঘটবে না।
এবারের ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকারের এই সুচিন্তিত সিদ্ধান্তটি দেশের আর্থিক এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমকে মসৃণ রাখতে সাহায্য করবে। একই সঙ্গে এটি জনগণের দীর্ঘ ছুটির মাধ্যমে পরিবার-পরিজনের সাথে ঈদের আনন্দ উপভোগের সুযোগও করে দিচ্ছে।