প্রতিনিধি ১৫ অগাস্ট ২০২৫ , ১:৩৭ পিএম প্রিন্ট সংস্করণ
পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি সামরিক বাহিনীর জন্য একটি নতুন এবং অত্যাধুনিক ইউনিট গঠনের কথা বলেছেন, যার নাম ‘আর্মি রকেট ফোর্স’। এই নতুন ইউনিটটি পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই রকেট ফোর্সের প্রধান দায়িত্ব হবে বিভিন্ন ধরনের রকেট, হাইপারসনিক এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের তত্ত্বাবধান করা। এর মূল লক্ষ্য হলো শত্রুপক্ষের যেকোনো আগ্রাসন প্রতিহত করা এবং প্রয়োজনে পাল্টা আঘাত হানা। আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে গঠিত এই ইউনিটটি পাকিস্তানের সামরিক শক্তিকে বহুগুণে বৃদ্ধি করবে।
এই ঘোষণার পেছনে একটি বড় কারণ হলো সম্প্রতি পাকিস্তান-ভারত সীমান্তে উত্তেজনা। গত মে মাসে উভয় দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলায় রকেট এবং ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। সে সময় পাকিস্তান দাবি করেছিল যে তারা ভারতের ভূখণ্ডে ‘ফাতাহ’ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এর জেরেই ইসলামাবাদ এমন একটি বিশেষায়িত সামরিক ইউনিট গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, এই নতুন ইউনিটটি আধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত হবে এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর যুদ্ধ-ক্ষমতা জোরদার করার ক্ষেত্রে এটি বিরাট ভূমিকা রাখবে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “আমি পাকিস্তানের আর্মি রকেট ফোর্স গঠনের ঘোষণা করছি। আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে সজ্জিত সামরিক বাহিনীর এই ইউনিট পাকিস্তানের সামরিক ক্ষমতা বৃদ্ধিতে মাইলফলক সৃষ্টি করবে বলে আমার বিশ্বাস।”
সামরিক বিশ্লেষকদের ধারণা, এই নতুন ইউনিটটি চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির রকেট ফোর্সের আদলে তৈরি করা হতে পারে। চীনা এই বাহিনীটি ব্যালিস্টিক, হাইপারসোনিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন পাল্লার রকেটের তদারকির কাজ করে। যদি পাকিস্তানের এই নতুন ইউনিটটি চীনের আদলে গঠিত হয়, তাহলে এটি তাদের সামরিক সক্ষমতাকে আরও সুসংহত করবে। এর ফলে প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সামরিক ভারসাম্যে একটি নতুন পরিবর্তন আসতে পারে।