প্রতিনিধি ২১ অগাস্ট ২০২৫ , ১২:২২ পিএম প্রিন্ট সংস্করণ
সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)-এর সদস্য সংখ্যা আরও বাড়লো। সরকারি চাকরিতে নিয়োগ সংক্রান্ত এই গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাটিতে সম্প্রতি তিন জন নতুন সদস্য নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এর ফলে, পিএসসির সদস্য সংখ্যা ১৫ থেকে বেড়ে ১৮-তে দাঁড়ালো।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপনে এই নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে, যা বুধবার (২০ আগস্ট) জারি করা হয়। বাংলাদেশের সংবিধানের ১৩৮ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রদত্ত ক্ষমতা বলে রাষ্ট্রপতি এই তিন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সদস্য পদে নিয়োগ দিয়েছেন।
নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত তিনজন হলেন- মো. মহিউদ্দিন, যিনি একজন অভিজ্ঞ সরকারি কর্মকর্তা; মুহাম্মদ শাহীন চৌধুরী, যিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন স্বনামধন্য অধ্যাপক; এবং এম আমজাদ হোসেন, যিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজনrespected অধ্যাপক।
পিএসসি একটি সাংবিধানিক ও স্বাধীন সংস্থা হিসেবে পরিচিত, যার মূল কাজ হলো দেশে সরকারি চাকরি সংক্রান্ত সকল নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করা। এটি দেশের সরকারি প্রশাসনিক কাঠামোর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
সংবিধানের ১৩৯ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, এই নতুন সদস্যরা তাদের দায়িত্বভার গ্রহণের তারিখ থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর অথবা তাদের ৬৫ বছর বয়স পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত, এই দুইয়ের মধ্যে যা আগে ঘটবে, সেই সময় পর্যন্ত স্বপদে বহাল থাকবেন। এই নিয়োগের ফলে পিএসসির কার্যক্রম আরও গতিশীল এবং প্রসারিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই নিয়োগের মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে যে সরকার পিএসসির কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করতে আগ্রহী। বর্ধিত সদস্য সংখ্যা কমিশনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় আরও বৈচিত্র্য ও স্বচ্ছতা আনতে সাহায্য করতে পারে। বিশেষ করে, বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে আসা নতুন সদস্যদের অভিজ্ঞতা পিএসসির কার্যক্রমে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
পিএসসির দায়িত্বের মধ্যে শুধু বিসিএস পরীক্ষা পরিচালনাই নয়, বরং বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে নন-ক্যাডার পদগুলোতেও নিয়োগ দেওয়া অন্তর্ভুক্ত। তাই কমিশনের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি এর কর্মপরিধি ও কার্যকারিতা বাড়াতে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এই পদক্ষেপের ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সম্ভাব্য দীর্ঘসূত্রিতা হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নতুন সদস্যরা তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্র থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা দিয়ে কমিশনের কার্যকারিতাকে আরও উন্নত করতে পারবেন।
সর্বোপরি, এই নিয়োগ সরকারি কর্ম কমিশনের ভূমিকা ও গুরুত্বকে আবারও তুলে ধরলো। সরকারি চাকরির প্রত্যাশীদের জন্য এটি একটি ইতিবাচক সংবাদ, কারণ পিএসসির শক্তি বৃদ্ধি মানেই একটি সুশৃঙ্খল এবং দক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়ার দিকে এগিয়ে যাওয়া।