সাইলেন্ট কিলার মাহমুদুল্লাহ কে না চেনে? এমন কেউ নেই যে তাকে চিনেন না। বাংলাদেশ জাতীয় দল এ পরিচিত মুখ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ময়মনসিংহের ছেলে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বাংলাদেশ জাতীয় দলের সূচনা হয়েছিল তামিম, সাকিব, মুশফিকদের মত ক্রিকেটার দের সাথে। সেজন্য তাকেও বাংলাদেশের সবচেয়ে কনিষ্ঠ বা সর্বশেষ পঞ্চপান্ডব মনে করা হয়। মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসান মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবালের মত মাহমুদুল্লাহ জায়গা পেয়েছে বাঙ্গালীদের অন্তরে।
2018 সালে অনুষ্ঠিত নিদ্রাস ট্রফি র এর কথা মনে রয়েছে?
শেষ ওভারে টানটান উত্তেজনা । কোনমতে রাজি নয় সাকিব-আল-হাসান। প্লে-অফ করতে চাইলেও তখনও মাঠের বাইরে রয়েছে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। কিছু একটা করে দেখাতে ইচ্ছে হচ্ছিল। হয়তো খুব শেষের দিকে দেখালেন তার আসল ভেলকি। ব্যাট দিয়ে উড়িয়ে দিলেন শ্রীলংকার থিসারা পেরেরার পোল্টি। বাস!! বাংলাদেশকে আর আটকায় কে? শুধু তাই নয় মাহমুদুল্লাহর হাত দিয়ে রয়েছে বাংলাদেশের কিছু অবিশ্বাস্য জয়। এর মধ্যে রয়েছে 2017 সালে অনুষ্ঠিত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। সেমিফাইনাল ম্যাচ এ300+ রানে র টার্গেটে প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ডকে সুন্দরভাবে ধরাশায়ী করে ফেলে ছিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এবং সাকিব আল হাসান।এটি বাঙ্গালীদের মনে এখনো নাড়া দেয়। এছাড়াও আপনারা হয়তোবা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সর্বপ্রথম উঠতে বাংলাদেশের সর্ব প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে যিনি কিনা 2015 সালের ওয়ার্ল্ড কাপে পরপর দুটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। তাঁর প্রথম সেঞ্চহুরি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বাংলাদেশের বিশ্বকাপের প্রথম সেঞ্চুরি এবং দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটিতে বাংলাদেশ বাংলাদেশ অবিস্মরণীয় জয় পেয়েছে। সেই জয় বাংলাদেশকে কোয়ার্টার ফাইনালে তুলে দেয় এবং অপরদিকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যে হার বাংলাদেশের রয়েছে সেটাই খুব একটা নাড়া দেয় না বাঙ্গালীদের মনে। তাই বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের সাইলেন্ট কিলার হিসেবে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে আখ্যায়িত করেছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। কারণ সাইলেন্ট কিলার যখন মাঠে নামেন তখন তাকে দেখে খুব একটা কিছু মনে না হলেও শেষের দিকে ফিনিশিংটা র মাধ্যমে তার প্রতিপক্ষকে তাক লাগিয়ে দেয়। বাংলাদেশের প্রথম সুপার হিট ব্যাটসম্যান হিসেবে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের খ্যাতি যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে মাহমুদুল্লাহর কিছু ঘটনা সম্পর্কে। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ মূলত মুশফিকুর রহিমের শ্যালক। তিনি তার ক্যারিয়ার শুরু করেন একজন স্পিন বোলার হিসেবে। কিন্তু পরে তার ব্যাটিং স্কিল থাকার পর তিনি বাংলাদেশের একজন সফল এবং শ্রেষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। যদিও বা টেস্ট ক্যারিয়ারের মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের কেমন কোন অর্জনে নেই। কিন্তু টেস্টে তিনি মুশফিকুর রহিম এর বিকল্প হিসেবে দারুণ ক্যাপ্টেন্সি জন্য বাঙ্গালীদের কাছে স্মরণীয় হয়ে গেছেন। বর্তমানে তাকে ক্যাপ্টেন হিসেবে দেখা যেতে পারে বিভিন্ন টেস্ট ম্যাচে।
সাইলেন্ট কিলার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ সকলের মনে জায়গা করে নিক।সকলে আমরা আশা করি তিনি তার ভবিষ্যতের উজ্জ্বল ক্রিকেটার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করুক।
আর আপনি যদি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের একজন ভক্ত হয়ে থাকেন মাহমুদউল্লাহ র একজন ভক্ত হয়ে থাকেন তবে আপনি অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে আমাদের সাথেই থাকবেন এবং আপনার যদি পছন্দ হয় তাহলে আমার অন্য পোস্ট গুলো দেখার জন্য আমন্ত্রণ রইল
Babar Azam’s 19th ODI century
Babar Azam took a lot of time to reach the milestone of his 19th ODI century. He played cautiously as...