মা” এমন একটি শব্দ যা শুনলেই মনে শীতলতা জাগে।মা এমনি একজন রমনী যিনি দশ মাস অসহনীয় কষ্ট, যন্ত্রণা সহ্য করে তার সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখান। মা অত্যন্ত মমতাময়ী একজন মানুষ। মায়ের মত ভালবাসা পৃথিবীর কেও কখনো দিতে পারে না।মা স্বার্থহীনভাবে তার সন্তানকে ভালবাসেন।শিশু যখন মাতৃগর্ভে থাকে তখন মা যে খাবার গ্রহণ করেন তা থেকে শিশু পুষ্টি গ্রহণ করে বেড়ে উঠে,মায়ের গ্রহন কৃত বায়ু দিয়ে শ্বাসপ্রশ্বাস চালায়।মাতৃগর্ভে থাকাকালীন সময় শিশুর বৃদ্ধির জন্য সম্পুর্নভাবে মায়ের উপর নির্ভর থাকে।সেই সময় মায়ের একটু ক্ষতি হলে শিশুরও ক্ষতি হয়।মায়ের ভালো থাকার উপর শিশুর ভালো থাকা৷ নির্ভর করে।শিশু যখন মাতৃগর্ভ থেকে বেড়িয়ে আসে তখন শিশু অনেক অসহায় থাকে।তখন সেই অসহায় শিশুটিকে মা আদর, যত্ন,ভালবাসা দিয়ে ধীরে ধীরে বাইরের পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে শেখায়।জন্মের পর শিশু প্রথম মায়ের দুগ্ধ পান করে।এতে শিশুর বিকাশে সহায়তা হয় এবং মাও তৃপ্তি লাভ করেন।শিশুর একটু কোনো সমস্যা হলে বা মা দূরে থাকলে শিশু কান্না করতে থাকে।সে তার কান্না দ্বারা সব প্রকাশ করে তখন।মা তার সন্তানকে তার প্রানের চেয়েও বেশি ভালবাসেন।মায়ের মমতা -ভালবাসার কোনো তুলনা হয় না।মায়ের ভালবাসার ঋণ কোনো মূল্যেই পরিশোধ করা যায় না।একজন মা তার সন্তানের জন্য সব কিছু করতে পারেন।সন্তানের আনন্দে মা আনন্দিত হন আর সন্তানের দুঃখে দুঃখী হন। সন্তানের মনের সব না বলা কথা মা বুঝতে পারেন।মাকে কখনো কোনো কিছুর জন্য কষ্ট দেয়া উচিত নয়।পৃথিবীতে কেও বিনা স্বার্থে কারো কোনো কাজ করে দেয় না। সবাই সব সময় নিজের কথাই ভাবে কিন্তু মা নিজের আগে সব সময় তার সন্তানের কথা চিন্তা করে।মা কখনো নিজের আনন্দ, সুখের কথা চিন্তা করেন না। তিনি নিজে না খেয়ে সন্তানকে খাওয়ান,নিজে ছেড়া কাপড় পরে থাকেন কিন্তু সন্তানের জন্য নতুন কাপড়ের ব্যবস্থা করে দেন।প্রয়জনে সন্তানের জন্য নিজের জীবনও দিতে পারেন কিন্তু তবু মা বেচে থাকতে কখনো সন্তানের চোখে একটুও জল আসতে দেন না
মা সন্তানের ভালোর৷ জন্য একেক সময় একেক রূপ ধারণ করেন।যখন সন্তানের উপর কোনো বিপদ আসে তখন মা রুদ্ররূপ ধারণ করেন।যখন সন্তান হতাশায় ভেঙে পড়ে তখন মা তার কোলে তার সন্তান কে সকল অসফলতার গ্লানি থেকে লুকিয়ে রেখে নতুনভাবে উৎসাহিত করেন।যখন সন্তান অন্যায় করে তখন মা শান্ত কোমলভাবে তাকে বুঝায়।ঠিক ভুলের পার্থক্য শেখান।সন্তানকে পৃথিবীতে আনা থেকে শুরু করে তার হাত ধরে তাকে হাটতে শেখানো,তাকে পড়াশোনা শেখানো,তাকে সামাজিক পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানো, জীবনের প্রতি পদে পদে বিপদের মোকাবিলা করা,কখনো হার না মেনে বার বার চেষ্টা করে যাওয়া, জীবনে সফলতার পথে এগিয়ে চলা এইসব কিছুতেই মায়ের ভুমিকা অতুলনীয় এবং প্রশংসনীয়। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় যোদ্ধা হলেন মা।মায়ের মত এতো অক্লান্ত পরিশ্রম আর কেও করতে পারে না।মা কখনো ক্লান্ত হন না সন্তানকে ভালবাসতে। মা যেনো ভালবাসার এমনই এক খনি যা কখনো শেষ হয় না। কি করে যে মা এত ভালবাসে সেটা পরম করুণাময় ই জানেন।সন্তান মাকে যত কষ্টই দিক না কেন মা কখনো তার সন্তানের অমঙ্গল কামনা করেন না।তার মনকে যদি তার সন্তান কষ্ট দিতে দিতে ক্ষতবিক্ষত করে দিলেও তার সেই ক্ষতবিক্ষত মনটা সর্বদা তার সন্তানের মঙ্গল কামনা করে যায়।কি অদ্ভুত মায়ের ভালবাসা। তাই না? মায়ের ভালবাসার গভীরতা কতটা, সেটা কেও কখনো ধারণাও করতে পারবে না।কিন্তু মানুষ আজকাল তার জীবনে তার৷ মায়ের ভুমিকা কতটা সেটা মনেও করে না।মায়ের সাথে খারাপ ব্যবহার করে।মায়ের সাথে তর্ক করে মায়ের মনে কষ্ট দেয়।মানুষ নামের অনেক পশু তো মায়ের উপর হাতও তুলে।সেই মা যে নিজের মুখের খাবার৷ সন্তানকে খাইয়ে বড় করেছে,সেই মা যে রাত জেগে সন্তানের সেবা করে সুস্থ করে তুলে।ছিঃ মানবতা আজ কোথায়? যে মা এত কষ্ট সহ্য করে সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখান, ধীরে ধীরে শিশুকে মানুষের মত মানুষ করে তুলেন সেই মায়ের উপর এত অবিচার কি করে করতে পারে। সন্তানের জীবনে মায়ের ভুমিকা সবচেয়ে বেশি। মাকে সব সময় সম্মান করা উচিত এবং সর্বদা মায়ের আদেশ মেনে চলা উচিত।মা কষ্ট পায় এমন কোনো কাজ কখনো করা৷ উচিত না।
“ভালোবাসা ভালোবাসে শুধুই তাকে ভালোবাসায় ভালোবেসে বেধেঁ যে রাখে”।
ভালোবাসা কি? এর সংজ্ঞা সঠিক ভাবে কেউ দিতে পারবে না।ভালোবাসার সংজ্ঞা সঠিক ভাবে নির্বাচন করাও কঠিন। কারণ,ভালোবাসা একেক জনের কাছে...