প্রতিনিধি ২৬ অগাস্ট ২০২৫ , ১২:২৩ পিএম প্রিন্ট সংস্করণ
রাজশাহীর মোহনপুরে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৮ জন সদস্য আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার ভোরে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের বাকশিমইল গ্রামে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। একটি দ্রুতগামী ট্রাক সেনাবাহিনীর একটি টহল পিকআপ ভ্যানকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে দুটি গাড়িই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়।
এই দুর্ঘটনার খবর নিশ্চিত করেছেন মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান। তিনি জানান, আজ ভোর পৌনে ৫টার দিকে সেনাবাহিনীর দুটি টহল পিকআপ ভ্যান রাতে টহল শেষে বাকশিমইল গ্রামের ক্যাম্পের দিকে ফিরছিল। ক্যাম্পের কাছাকাছি পৌঁছালে পেছন থেকে আসা একটি দ্রুতগতির ট্রাক প্রথম পিকআপ ভ্যানটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। আকস্মিক এই ধাক্কায় সেনাবাহিনীর পিকআপ ভ্যানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। একই সময় ট্রাকটিও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই পিকআপ ভ্যানের পাশেই খাদে পড়ে যায়।
ওসি আতাউর রহমান আরও জানান, দুর্ঘটনার পরপরই স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করা হয়। সেনাবাহিনীর পিকআপ ভ্যানে থাকা ৮ জন সেনাসদস্য এবং ট্রাকের চালকের সহকারী আহত হন। তাদের মধ্যে দুই জন সেনাসদস্যের আঘাত গুরুতর। আহত সবাইকে দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে তাদের চিকিৎসা চলছে।
দুর্ঘটনার পর পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হন। দুর্ঘটনার শিকার দুটি গাড়িই সড়কের পাশের খাদে পড়ে ছিল। ক্রেন ব্যবহার করে গাড়ি দুটি উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
ওসি আতাউর রহমান বলেন, দুর্ঘটনার কারণ এখনো পরিষ্কার নয়। ট্রাক চালক পলাতক রয়েছেন। এই ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডার থানায় আসার পর এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাকটির অতিরিক্ত গতি অথবা চালকের অসাবধানতার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় সেনাবাহিনী এবং স্থানীয় প্রশাসন উভয়ই তদন্ত করছে।
এই দুর্ঘটনা আবারও প্রমাণ করে যে আমাদের দেশের মহাসড়কে নিরাপত্তা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ। যদিও এই ঘটনায় বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটেনি, তবে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছে সবাই। স্থানীয়দের মতে, এই এলাকায় প্রায়শই অতিরিক্ত গতির কারণে দুর্ঘটনা ঘটে। তাই সড়কে গতি নিয়ন্ত্রণ এবং চালকদের সচেতনতা বৃদ্ধির বিষয়ে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। আশা করা যায়, কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে যাতে ভবিষ্যতে এমন দুঃখজনক ঘটনা আর না ঘটে।